ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাজস্বভুক্তকরণ ও আউটসোর্সিং বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। রোববার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ী রোডে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় ১,৩৫০ শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তত্ত্বাবধায়ক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাধারণ তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল কাদের, আমিনুল হক, সুপারভাইজার একরামুল হক, মাসুদ রানা, আমিনুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, আব্দুল হালিম, অলিউল্লাহ ও শিক্ষক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় পরিচালিত এই প্রকল্প দেশের মসজিদ অবকাঠামো ব্যবহার করে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা সুবিধাবঞ্চিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে আসছে। এটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, কিশোর-কিশোরী ও বয়স্কদের জন্য পবিত্র কোরআন শিক্ষা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়া মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলেম-ওলামা এবং সাধারণ শিক্ষিত বেকার নারী-পুরুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। কিন্তু ৭টি পর্যায় সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার পরও ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম পর্যায়ের জনবল রাজস্ব খাতে স্থান পায়নি।
বর্তমানে “মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৮ম পর্যায়” শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু ৩২ বছর ধরে চলা এই শিক্ষামূলক প্রকল্পটিকে আউটসোর্সিংয়ের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা শিক্ষকরা মেনে নিতে পারছেন না।
বক্তারা জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, কেয়ারটেকারদের স্কেলভিত্তিক বেতন প্রদান, শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, আউটসোর্সিং বাতিল এবং ঈদের আগেই প্রকল্প অনুমোদনসহ বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানান। পরে ৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নদী চরের গাছ
থেকে যুবকের
লাশ উদ্ধার
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালী গ্রামের মোঃ ইয়াসিন আলী (৩৮) পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইয়াসিনের প্রথম বিয়ে হয় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামে। তাদের সংসারে এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান থাকলেও দাম্পত্য কলহের কারণে দুই বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে তিনি উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তবে প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের খরচ বহন করা নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই তার মনোমালিন্য হতো।
ইয়াসিন পেশায় ইট ভাটা শ্রমিক ও স্থানীয় নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।