প্রচন্ড তাপদাহ বিরাজ করছে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে। এতে করে জনজীবন শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস অবস্থা। শনিবার নীলফামারীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ১০ দিন ধরে নীলফামারী জেলায় বিরাজ করছে প্রচন্ড তাপদাহ। প্রতিদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। প্রখর রোদে প্রকৃতি যেন লাল রুপ ধারণ করেছে। মাথার ওপর থাকা নীল আকাশটা যেন তপ্ত কড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যার পূর্ব মুর্হুত পর্যন্ত একই মাত্রায় রোদ পড়ছে। এতে করে জনজীবনে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘরের বাহিরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন। পেটের তাগিদে প্রখর রোদের মধ্যেও তাদের কাজে বের হতে হচ্ছে।

এদিকে প্রচন্ড গরমে জ্বর,কাশি ও এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এ জেলার মানুষজন। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।

নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আব্দুর রহীম জানান প্রচন্ড তাপদাহের কারণে মানুষজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

নীলফামারীর ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আব্দুর সবুর মিয়া জানান শনিবার ডিমলা উপজেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলমান জুন মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন প্রতিদিনেই ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ছে। এদিকে সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়ান।