গাইবান্ধা থেকে জোবায়ের আলী : কৃষি নির্ভরশীল জেলা গাইবান্ধায় কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছেন স্থানীয় কৃষকরা। ধান, পাটসহ প্রচলিত ফসলের চাষের পরিবর্তে এবার প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়েছে ভিনদেশী সবজি বিটরুট। নতুন এ উদ্যোগে সাফল্যের মুখ দেখছেন কৃষক, যা জেলার কৃষিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ৩০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বিটরুটের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ¥ীপুর ইউনিয়নের সুপারির ভিটা গ্রামে ২০ শতক এবং ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামে ১০ শতক জমিতে বিটরুট চাষ করা হয়েছে। সরেজমিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সুপারির ভিটা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক দম্পতি ফারুকুজ্জামান ফারুক ও মাহফুজা বেগম তাদের ২০ শতক জমিতে বিটরুট চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ধান ও পাট চাষ করলেও আশানুরূপ লাভ হয় না। পরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের এসএমএপি প্রকল্পের সহায়তায় গত বছরের নভেম্বরে বিটরুট চাষ শুরু করেন তারা। ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, এসকেএসের ২০ হাজার টাকা সহায়তা নিয়ে আমরা বিটরুট চাষ শুরু করি। এখন জমিতে প্রায় ১ হাজার কেজি বিটরুট রয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছি। তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, শুরুতে অচেনা এ সবজি চাষে স্বামী রাজি হচ্ছিলেন না। তবে মোবাইল ও বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য জেনে এক পর্যায়ে তিনি রাজি হন। এখন আমাদের সাফল্য দেখে আশেপাশের অনেকেই বিটরুট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
গ্রাম-গঞ্জ-শহর
বাণিজ্যিকভাবে গাইবান্ধায় বিটরুট চাষে কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি নির্ভরশীল জেলা গাইবান্ধায় কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছেন স্থানীয় কৃষকরা। ধান, পাটসহ প্রচলিত ফসলের চাষের পরিবর্তে এবার প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়েছে ভিনদেশী সবজি বিটরুট।