চকরিয়া সংবাদদাতা : চকরিয়ায় বসতঘরে ঢুকে আবদুর রহিম (৬০) নামের এক বয়োবৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালীতে আবদুল্লাহর দোকানের পাশের এলাকায় এই হত্যাকা- ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুর রহিম মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের মাঝের ডেইল এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে ছাইরাখালী এলাকায় বসবাস করছিলেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার সময় রহিমের সঙ্গে বাড়িতে ছিল তার মেয়ের নাতি আদিবুর রহমান তুহিন। সকালের দিকে তারা একসঙ্গে খাবার খায়। পরে তুহিন স্থানীয় নুরানি মাদরাসায় গেলে বৃদ্ধ রহিম একা ছিলেন। বিকেলে মাদরাসা থেকে ফিরে সে নানাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে ঘরের একটি কক্ষের সামনে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় নানার মরদেহ দেখতে পায়। পরে সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লাশ দেখতে পান এবং নিহতের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম ও মেয়েকে খবর দেন।

চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম ও চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাশ পুলিশ দলসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশ থানায় আনা হয়।

নিহতের কন্যা শামীমা আক্তার রিনা বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার মা মাতারবাড়িতে ছোট ভাই অসুস্থ থাকায় তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগে দুর্বৃত্তরা বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আলমারিতে গরু কেনার জন্য রাখা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাও খোয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের স্থানীয় প্রতিবেশী আব্বাসের স্ত্রী লিনুর সঙ্গে ময়লা ফেলা নিয়ে বিরোধ চলছিল। আমি মনে করি পূর্বশত্রুতার জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালে আমার বড় বোন রাকি আক্তার পপিকেও হত্যা করা হয়েছিল। ১২ দিন পর জানতে পারি, তার লাশ বিনা ওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়।

রিনা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমার বাবার খুনিদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।