কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : মাত্র ৩০ বছর বয়সেই দুই কিডনি বিকল হয়ে জীবনের সঙ্গে লড়ছেন কিশোরগঞ্জের তরুণ ইমাম হাফেজ মাওলানা আশেক। অসুস্থতার কারণে ইমামতি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। সংসারে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন এই ইমাম। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। এমন অবস্থায় তার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা। গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আশেকের পাশে দাঁড়ায়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর এবং কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী ও বাজিতপুর) আসনে মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মো. রমজান আলী তাকে অনুদান প্রদান করেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাওলানা আশেক দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জের একটি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে। বর্তমানে তিনি বেকার। সংসারের খরচ ও চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে ইতোমধ্যে এক লক্ষ টাকার বেশি ঋণগ্রস্ত হয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আশেকের জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। এ খাতে খরচ হবে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু এই বিপুল অর্থের যোগান দেওয়া তাঁর পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। এজন্য তিনি বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
অনুদান প্রদানের সময় অধ্যাপক রমজান আলী বলেন, “অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। মাওলানা আশেকের চিকিৎসায় আমরা জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রাথমিক সহযোগিতা করেছি। তবে পাঁচ লাখ টাকার ব্যয় বহন করা এককভাবে সম্ভব নয়। এজন্য সমাজের বিত্তবান মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।”
মাওলানা আশেক আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছোট দুই সন্তান আছে। ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে বাঁচতে চাই। আমি সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই।” এসময় জেলা সহকারী সেক্রেটারি শামসুল আলম সেলিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, বাজিতপুর পৌরসভা সভাপতি শামসুর রহমান রফিক, দিলালপুর ইউনিয়ন সভাপতি শফিউল ইসলাম, জোবায়ের আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।