DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

নিখোঁজ খুলনার মুসল্লি নাসিরকে ঢাকার ডেমরা থেকে উদ্ধার

টঙ্গী ইজতেমা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২৫ ঘন্টা পর সন্ধান মিলেছে খুলনার মুসল্লী গাজী নাসির উদ্দিন মাহমুদের। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইফতারের পর রাজধানী ঢাকার ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন আরএসএম শোরুমের সামনে থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

খুলনা ব্যুরো
Printed Edition
DailySangram-Logo

টঙ্গী ইজতেমা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২৫ ঘন্টা পর সন্ধান মিলেছে খুলনার মুসল্লী গাজী নাসির উদ্দিন মাহমুদের। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইফতারের পর রাজধানী ঢাকার ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন আরএসএম শোরুমের সামনে থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া গাজী নাসির উদ্দিন সুস্থ এবং সবল রয়েছেন এবং তার কাছে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ, টাকা পয়সা সব কিছুই অক্ষত রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বড় ছেলে গাজী আলী বাকের প্রিন্স। আরএসএম শোরুমের সামনে থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্টাফ কোয়ার্টারের কর্মচারীরা।

উদ্ধার হওয়া গাজী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বড় ছেলে গাজী আলী বাকের প্রিন্স বলেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন আরএসএম শোরুমের সামনে আব্বুকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে ইফতারের পর স্টাফ কোয়ার্টারের কর্মচারীরা তাকে ডেকে তোলে। এ সময় তারা তার কাছে জিজ্ঞেস করে আপনি এখানে কিভাবে এলেন? জবাবে সে কিছুই বলতে পারেনা। এরপর তার কাছে থাকা চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া মোবাইলে চার্জ দিয়ে তারা আমাকে ফোন দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে আব্বুকে তাদের কাছ থেকে নিয়ে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসার নিয়ে যাই।

উদ্ধার হওয়া ৬৫ বছর বয়সী গাজী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের বারাকপুর গ্রামে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) টঙ্গী ইজতেমার মাঠ থেকে সেহেরি খাওয়ার পর সে নিখোঁজ হয়। এর আগে ৪২ দিন পূর্বে সে তাবলীগের এক চেল্লা (৪১ দিন) ‘র উদ্দেশ্যে এলাকার কয়েকজন মুসল্লির সাথে বাড়ি থেকে রওনা দেন। শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলের কয়েকটি মসজিদে তাবলীগের সাথীদের সাথে ৪১ দিনের চেল্লা শেষ করে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) গাজীপুর জেলার টঙ্গী ইজতেমার মাঠে আসেন।

কেসিসির সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা

খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনির বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মিস পিটিশন নং-২৫/২৫।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অভিযোগটি দায়ের করেছেন তার সৎ ভাইয়ের স্ত্রী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৩ এর বিচারক অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আগামী ২০ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে হাজী ইসমাইল লিংক রোডস্থ বাদীর স্বামীর বাসার শয়ন কক্ষে বাদী গোসল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আগে থেকে দরজার আড়ালে ঘাপটি মেরে থাকা তার ভাসুর মনি তাকে জাপটে ধরে খাটের উপর ফেলে দেয় এবং তাকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বাদী নিজেকে বাঁচাতে মনিকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনি বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে বাদীর স্বামী ও দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে অভিয্ক্তু মনি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর বাদীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খুলনা ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানা বিএনপির সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান মনিকে একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই খুলনার পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাদীর অভিযোগটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন ওই মহিলা থানায় আসছিলো। পরে থানায় ওই মহিলার আত্মীয়-স্বজন এসে তাকে নিয়ে যায়।