শেরপুর সংবাদদাতাঃ শেরপুরে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলায় অতি বর্ষণের সম্ভাবনা এবং ভারতের মেঘালয়ে লাগাতার বর্ষণের কারণে ওই আশক্কা সৃষ্টি হয়েছে। দুদিন ধরে জেলার নদ-নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও সবগুলো নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যার পূর্বাভাসের কারণে আতস্কে রয়েছেন নদী এলাকার।মানুষজন। ১৮ মে রবিবার সকাল এবং শনিবার রাতে কয়েক দফা উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা ভারি বর্ষণের কারণে।জেলার।বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিনাইগাতী এলাকায় সমোমেশ্বরী নদীতে নির্মাণাধীন একটি।ব্রিজে ময়লা আটকে পানির তোড়ে পাশের সড়ক ও একটি দোকান আংশিক ভেঙে কিছুটা পানি প্রবেশ করলেও তাতে কোন এলাকা বা বাড়িঘর প্লাবিত হয়নি।
ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়ন।পরিষদের চেয়ারম্যান মাে. শফিকুল ইসলাম।জানান, বাগেরভিটা এলাকায় সমোমেশ্বরী নদীতে।নির্মাণাধীন ব্রিজের নিচে কাঠের সেন্টারিং।খােলায় পাহাড়ি ঢলের পানি সেখানে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্রিজের পাশে একটি দোকানের একাংশ ভেঙে যায় এবং কিছু পানি লােকালয়ে প্রবেশ করে। তবে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পাঠানো।।সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, আগামী ২০ মে।পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের।নি¤œাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এতে জনজীবনের পাশাপাশি কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশস্কা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বন্যা মােকাবিলায় শেরপুর জেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের দ্রুত আধা-পাকা ধান কেটে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় যেসব ধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে, তা দ্রুত কাটার পরামশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতােমধ্যে জেলার ৮০ শতাংশ ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে।।বাকি ধানগুলোও দ্রুত কেটে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার।মাহমুদুর রহমান বলেন, বন্যার পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা উপজেলায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলােও বন্যা মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে রাখা এবং সংগঠনগুলোকেও প্রস্তুতি থাকতে বলা হয়েছে এবং প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।