কক্সবাজারের উখিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতিসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরও চারজন।

গতকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি ও কুতুপালং বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন (৪৫), তার চাচাতো ভাই আবদুল মান্নান ও বোন শাহীনা বেগম (৩৮)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও রাজাপালং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানান, মাত্র ১৪ কড়া জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল মাওলানা মামুনের পরিবার ও তার চাচাতো ভাই মান্নানের পরিবারের মধ্যে। রবিবার সকালে মামুন জমিতে কাজ করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন ছুরি ও ধারালো দা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গুরুতর অবস্থায় আবদুল্লাহ আল মামুনকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার চাচাতো ভাই মান্নান ও বোন শাহীনাকেও গুরুতর আহত অবস্থায় কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও চারজন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফ হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি টিম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আটক অভিযান চলছে।

এদিকে গভীর ও সমবেদনা জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল ফজল ও সেক্রেটারি মাওলানা সোলতান আহমদ এবং রাজাপালং ইউনিয়ন আমীর রুহুল আমিন ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইউনুছ।

নেতৃবৃন্দ জানান নিহত মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন দীর্ঘদিন ধরে কুতুপালং বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং পাশাপাশি তিনি রাজাপালং ইউনিয়ন জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি ও ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তাঁরা আরো জানান তিনি একজন উদীয়মান আলেমেদ্বীন ও জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ছিলেন। তাদের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।