নভেম্বরে গণভোট আয়োজন ও গণ-আন্দোলনের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে জেলা শহরের শিববাড়ী মোড়ে এই সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে উত্তাল জনসমুদ্রের রূপ নেয় পুরো এলাকা।

গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত গাজীপুর-২ আসনের এমপি প্রার্থী জননেতা মোঃ হোসেন আলী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আজ পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আমরা গণতন্ত্র, ন্যায় ও ন্যায্যতার নতুন যাত্রায় অঙ্গীকারবদ্ধ। নভেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট আদায়ই হবে মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সূচনা বিন্দু। তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলন কোনো দলের নয়, এটি জনগণের আন্দোলন—ন্যায়বিচার, সমতা ও প্রকৃত প্রতিনিধিত্বের লড়াই।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৫ আসনের এমপি প্রার্থী জননেতা খাইরুল হাসান। তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ কেবল একটি দলিল নয়, এটি হচ্ছে মুক্তচিন্তা, জবাবদিহি ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার ঘোষণা।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আফজাল হোসাইন, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আজহার হোসেন মোল্লা, মহানগর শিবিরের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নেতা ও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, দেশের জনগণ আজ পরিবর্তনের প্রত্যাশায়। জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হতে যাচ্ছে।

৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা, এর আগে নভেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের ম্যান্ডেট গ্রহণ করা, জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি চালু করা, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল দলের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা, সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।