শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা : শ্রীমঙ্গলের পর্যটনে নতুন যুক্ত হলো চাঁদের গাড়ি। খোলা জীপগুলোকে স্থানীয়ভাবে চাঁদের গাড়ি বলা হয়। বেশ কয়েকমাস ধরে খোলা জীপগুলো রাস্থায় নামতে শুরু করে। একটি-দুইটি করে এখন চাঁদের গাড়ির সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ৫০/৬০ টিতে।
দেশের অন্যতম পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলে পর্যটক- দর্শনার্থীরা এসে চাঁদের গাড়িতে করে পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। খোলা গাড়িতে গাড়ি যখন ছুটে চলে পর্যটন স্পটের উদ্দেশে তখন পর্যটকরা খোলা গাড়ি থেকে চতুর্দিকের দৃশ্য অবলোকন করতে পারেন। হৈ হুল্লোর আর আনন্দ উল্লাস করে ঘুরে বেড়ান তারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদের গাড়িতে করে ৮/১০ টি পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানো যায়।
পর্যটক-দর্শনার্থীদের প্রথম পছন্দ শ্রীমঙ্গলের চা বাগান। চা বাগানের ভেতর দিয়ে উঁচু-নীঁচু, আঁকাবাকা পীচ ঢালা পথে যখন গাড়িগুলো ছুটে চলে তখন পর্যটকরা হন বিমোহিত, মুগ্ধ।
চা-বাগানের পর বাইক্কা বিল, লাল টিলা, ভাড়াউড়া লেক, শংকর টিলা, ডিনস্টন সিমেট্রি, বধ্যভূমি-৭১, নীলকন্ঠ সাত কালার চা স্টল, রামনগর মণিপুরি পাড়া, কমলগঞ্জের মাগুরছড়া পরিত্যক্ত গ্যাসকুপ, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট, মাধবপুর লেক, খাসিয়া পুঞ্জি প্রভৃতি স্থানে ঘুরে বেড়ান। বিশেষ করে এখানকার নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর পাড়াগুলো দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা। বিশেষ করে তাদের বৈচিত্র্যময় জীবনাচার, ভিন্ন সংস্কৃতি, পোষাকের ভিন্নতা এসব দেখে পর্যকটকরা হন মুগ্ধ। মণিপুরি আর ত্রিপুরাদের হাতের বিভিন্ন পোষাক কিনতেও ভুল করেন না পর্যটকরা।
এছাড়াও পাঁচ তারকা ও তিন তারকা মানের হোটেলসহ রাধানগর রিসোর্ট পল্লীর কটেজ, বাংলো, ইকো রিসোর্ট, ইকো কটেজগুলোতে স্বাচ্ছন্দে রাতযাপন করতে পারেন পর্যটকরা। বেশির ভাগ রিসোর্টেই রয়েছে সুইমিংপুলসহ খাওয়া-দাওয়া এবং পর্যটকদের চাহিদামত সুযোগ-সুবিধা।