মাগুরা সংবাদদাতা : মোঃ ওয়ালিয়র রহমান- ডাস্টবিন ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন না থাকায় সন্ধ্যা হলেই মাগুরা শহরের বিভিন্ন অলিগলি থেকে ময়লা এনে স্তুপ করে রাখা হয় প্রধান প্রধান সড়কে। এতে পথচারি এলাকাবাসী সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিষয়টি স্বীকার করে মাগুরা পৌরসভা থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা।

মাগুরা শহরের ভায়না মোড় এলাকার ফল বিক্রেতা পাপ্পু মোল্লা জানান, সন্ধ্যার পর ভায়না, পিটিআই পাড়া, মোল্লাপাড়া থেকে ভায়না কাঁচাবাজার হতে গোরস্থান মসজিদ পর্যন্ত মাগুরা মহম্মদপুর সড়কের দুপাশে অবস্থান নিয়ে প্রতিদিন পাঁচশতাধিক বিভিন্ন যানবাহন ছেঁড়ে যায়, মহম্মদপুর, বোয়ালমারী, মধুখালী সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়াও এখানে সবজী, মাছ, গোশত, ডিম ও নানা রকম ফল বিক্রি করা হয়। এ কারনে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু সন্ধ্যা হলেই ভোগান্তি শুরু হয়। অলিগলি থেকে ময়লা আবর্জনা এনে ফেলে রাখা হয় সড়কের ওপর। দুর্গন্ধে পথচারী দোকানি, মসজিদে আসা মুসল্লী, মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ অতিষ্ট হয়ে পড়ে। যানবাহনের যাত্রীরাও সবাই ভোগান্তিতে পড়েন।

পথচারী আরিফুর রহমান (৬৫) বলেন, ময়লা আবর্জনা শুধু দুর্গন্ধই ছড়াচ্ছে না, একই সাথে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে।

এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা উচিত। মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে অবস্থিত একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক আতিক হোসেন জানান, এভাবে সড়কের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দুষন করা হচ্ছে। নিরাপদ ও নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলা উচিত। এজন্য মাগুরা পৌর-কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। ম্াগুরা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মচারী হেমন্ত (৩৮) বলেন, প্রতিদিন মাগুরা শহর থেকে ১টন ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হয়। ডাস্টবিন ও সেকেন্ডারি ট্রানসফার স্টেশন না থাকায় ময়লা আবর্জনা রাস্তার ওপর ফেলা হয়েছে।

জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে স্বীকার করে- হেমন্ত আরো বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে চাহিদা পাঠিয়েছি। ডাস্টবিনের জন্য বারবার তাগাদা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠনে প্রতিষ্ঠান আরো ২০টি ডাস্টবিন না দেয়ায় ভোগান্তি হচ্ছে।