খুলনাঞ্চলে সব ধরনের মাছ, গোশত ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল মাসখানেক আগেও সবজির বাজার ছিল আরও সহনশীল। নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের ছিল যা এক প্রকার স্বস্তির হাওয়া। তবে বৈরি আবহাওয়া আর অতি বৃষ্টির কারণে সব গেছে পাল্টে। এছাড়া বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, কাচাঝাল এর দাম।
খুচরা বাজারে লেয়ার মুরগী বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, সোনালী মুরগী প্রতি কেজি ৩০০টাকা, কক মুরগী ২৯০ টাকা প্রতি কেজি ও ব্রয়লার মুরগী বিক্রি প্রতি কেজি ২১০ টাকা করে কেজি দরে। পাশাপাশি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭২৫-৭৫০ টাকা দরে, খাসির গোশত ১ হাজার টাকা প্রতি কেজি।
মাছ বাজারে ঘুরে দেখা যায়, চিংড়ি মাছ প্রকার ভেদে ৬০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দর, ইলিশ মাছ ছোট আকারের ৬০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের ওজনের মাছ ৯০০ টাকা, আর কেজির মাছ ২ হাজার টাকা থেকে ২৫শ’ টাকা পযন্ত। পাশাপাশি টেংরা ৬৫০ টাকা কেজি দরে। তবে সাগরের মাছের দাম আর পাঙাস মাছ ও তেলাপিয়াসহ চাষের কৈ, সিং কেজি একটু নাগালে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ দিকে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, ডিমের দাম ও বেড়েছে সপ্তাহের ব্যবধানে হালি প্রতি ৭ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, অতি বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট ও পরিবহন খরচ বেড়েছে যে কারণে সবজির সরবরাহ কমেছে।
নগরীর স্যার ইকবাল রোডস্থ কাচা বাজারে প্রতি কেজি পটল ৮০, আলু ২৫ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮৫ টাকা এবং বরবটি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ ৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেয়াজ গেল দুদিনে একট কমেছে ৭০ টাকা প্রতি কেজি।
ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, গেল কয়েক মাস যাবৎ মাস ধরে চলছে অতি বৃষ্টি। আর এই অজুহাতে দাম হাকাচ্ছে বিক্রেতারা। যে কারণে সবজির দাম বাড়ছে। আগে বাসা বাড়ীর সামনে ১০ থেকে ১৫ জন ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে সবজি মাছ বিক্রি করতে আসত। এখন সারাদিনে দুই একজন সবজি বিক্রেতাকে দেখা যায়না। তবে, দাম আরও একটু বেশি সহনশীল হওয়া উচিত। প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ার পিছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি কালো হাত থাকে। দেখেন পেয়াজের দাম গেল এক সপ্তাহ যাবৎ চলছে ৮০ টাকা করে কেজি অথচ যে শোনা গেছে ভারত পেয়াজ আসছে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমেছে।
বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, দেশের অধিকাংশ জেলায় অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ফসলী জমি পানির তলে যে কারণে দাম বেড়েছে। আমরা খুব বেশি লাভ করিনা। এছাড়া সরবারাহ তুলনায় চাহিদা বেশি থাকলে দাম বেশি হবে।
ডিম বিক্রেতা কার্ত্তিক মন্ডল বলেন, বর্ষার কারণে ডিমের বেড়েছে। ফার্মে মুরগীগুলো ব্যাপক ক্ষতির কারণে এমন দাম বেড়েছে। এছাড়া সরবারাহ কম। এমনকি মাছের বাজার ও একই কথা বলেন, মাছ বিক্রেতা জামাল বলেন, অনেক মৎস্য খামার তলিয়ে গেছে। বিল ডাকাতিয়ার থেকে কিছু মাছ পাওয়া গেলেও আশানুরূপ মাছ না পাওয়াতে মাছের দাম বেশি।