কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সং'ঘ'র্ষে একজনসহ এক সপ্তাহে নি'হ'ত হয়েছে ২ জন ও ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানান রোহিঙ্গারা ৷ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব ঘটেছে।
শনিবার (৮ মার্চ) রাত সারে ৯ টায় বালুখালী ৮-ইস্ট ক্যাম্পের বি/২১ ব্লকে এঘটনা ঘটে৷ নি'হ'ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ই, ব্লক-বি/২১ এলাকার শামসু আলমের পুত্র মোহাম্মদ রফিক (৩৩)৷
এপিবিএন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৮ ডব্লিউ ও ক্যাম্প ৮ ইস্টের স'শ'স্ত্র সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা দুই সংগঠনের নেতাদের মধ্যে গু'লাগু'লিতে মোহাম্মদ রফিক নামের একজন সাধারণ রোহিঙ্গা গু'লি'বি'দ্ধ হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ক্যাম্প-৯ এর আইওএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসেইন জানান, ক্যাম্পে ৮ ইস্টে একজন সাধারণ রোহিঙ্গার মৃত্যর খবর পাওয়া গেছে৷ কারা, কী কারণে এ হ'ত্যা'কাণ্ড ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ হ'ত্যা'র ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আনুমানিক রাত্র ৮:৪৫ ঘটিকায় কিছু সন্ত্রাসী ক্যাম্প ৮ ইস্ট’র ব্লক-বি/২৫ এলাকায় জড়ো হলে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গু’লি ছুড়তে থাকলে একজন বাগ প্রতিবন্ধী (মো: রফিক বয়স আনুমানিক ৩৩) ঘটনাস্থলেই গু'লি বিদ্ধ হয়ে MSF হসপিটালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু বরণ করেন।
এঘটনায় এপিবিএন পুলিশ অভিযানে সন্ত্রাসী গ্রুপের দুই সহযোগীকে তাৎক্ষনিক উপস্থিত পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মোতালেব (২২) ও জুনায়েদ (১৮)দের ধরতে সক্ষম হয়। আটককৃত ৩ আসামী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২০ এক্সটেনশনে হেড মাঝি মোহাম্মদ নুর কে সন্ত্রাসীরা জ*বাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়৷ এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ দুই সপ্তাহে ২ খু*ন ৭ গ্রেফতার আহত ১০ জন। এইসব ঘটনায় কারা জড়িত জানতে চাইলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসাবাসরত এক মাঝি জানান এই সকল ঘটনা আরএসও এবং নবী হোসেন বাহিনীর ( আরাকান রোহিঙ্গা আর্মী) এআরএ নামক সন্ত্রাসী সংঘটনের সদস্যরা ঘটিয়েছে বলে জানান।