বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন, দেশের মানুষ বিগত ৪টি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।

আসন্ন নিবার্চন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। ফলে শ্রমিক, ছাত্র-জনতার মধ্যে ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার উচ্ছ্বাস পাওয়া যাচ্ছে এবং তারা সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য উদগ্রীব।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ১১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সাবেক চসিক কাউন্সিল মুহাম্মদ শফিউল আলমের সাথে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আগামীর নির্বাচনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে উৎসাহ উদ্দীপনা ও শ্রমিক গণ-জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এই শ্রমিক গণ-জাগরণে দেশে একটি শ্রমিকবান্ধব সরকার গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থী ও শ্রমিক জনতা বুকের তাজা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। তরুণ ভোটাররা দেশের রাজনীতির গুণগত সংস্কার চায়। আমরা তাদের সাথে ঐক্যমত পোষণ করছি। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে সংস্কার কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একই সাথে জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। শহিদ পরিবার ও আহতদের পুর্নবাসন করতে হবে। তাদের ত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হবে।

জামায়াত মনোনীত চট্টগ্রাম ১১ আসনের প্রার্থী সাবেক চসিক কাউন্সিলর মুহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আমি নির্বাচিত হলে মানুষের নাগরিক ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে এস এম লুৎফর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে শ্রমিকরা শুধুই বঞ্চিত হয়েছে। বঞ্চিত ও অধিকার হারা শ্রমিক জনতার অধিকার আদায়ে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।

ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জাকির হোসাইন।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পতেঙ্গা থানা সভাপতি মঈন উদ্দিন, বন্দর থানা সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম আদনান, ইপিজেড থানা সভাপতি হোসাইন মাহমুদ, বন্দর শ্রমিক সংঘের সভাপতি মুহাম্মুদ হেলাল, ডবলমুরিং থানার সভাপতি আকরাম হোসাইন জিহাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, বিপিসি সেক্টরের সভাপতি আবু নাঈম সুজন, রিক্সা সেক্টরের সভাপতি মুহাম্মদ ইদ্রিস, বন্দর শ্রমিক সংঘের সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিন, বিপিসি সেক্টরের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বন্দর থানার সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ আজমী, সদরঘাট থানার সাধারণ সম্পাদক আফসার হোসেন ভুইঁয়া সহ সংসদীয় এলাকার নেতৃবৃন্দ।