নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সমাজের প্রত্যাশার সাথে সাংঘর্ষিক। প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেয়া নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, মহিলা বিভাগ।

সুপারিশকৃত রিপোর্ট দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দিকা গত বুধবার দেয়া বিবৃতিতে বলেন, ৯০% মুসলিমের এদেশে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার সুপারিশমালায় এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে যা সামাজিক মূল্যবোধে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। অপরদিকে এই প্রতিবেদন কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনে নারীর জন্য সবচেয়ে অবমাননাকর বিষয় হলো, যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে বলা, একই সাথে অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণ-পোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ সকল ধর্মের মতামত ও মুল্যবোধকে উপেক্ষা করা হয়েছে- যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন।

ইসলাম সমঅধিকার নয়, ন্যায্য অধিকারের ঘোষণা দেয়। এই চেতনাই সর্বস্তরের মুসলমানরা ধারণ করে। আল্লাহর আইন কেউ ব্যাক্তিগতভাবে না মানতে পারে। কিন্তু তার কোন অধিকার নেই এই আইনে হাত দেওয়ার। বাংলাদেশের ৯ কোটি নারী এই কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করছি। একই সাথে জানাচ্ছি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এই কমিশনে যাদেরকে সদস্য করা হয়েছে তারা সমাজের সকল শ্রেণীর নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। বিশেষ করে এই কমিশনে প্রকৃত ইসলামের জ্ঞান সম্পন্ন কোন নারী প্রতিনিধি আমরা দেখতে পাই না।

সুতরাং নারী কমিশনের প্রতিবেদনকে পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসাথে ইসলামের পূর্ণজ্ঞান সম্পন্ন নারীদের এই কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি পুনঃবিবেচনা এবং পুনঃলিখনের আহ্বান জানাচ্ছি।