গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরে সরকারী খাসজমির ওপর অবস্থিত একটি বড় পাকৈর গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কাশিমপুর ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াজেদ আলী খান বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর থানার পাশে সারদাগঞ্জ-হাতিমারা রাস্তার সংলগ্ন খাসজমিতে প্রায় এক লক্ষ টাকার মূল্যের একটি পাকৈর গাছ ছিল। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল আনুমানিক চারটার দিকে কে বা কারা ওই সরকারী গাছটি কেটে কাঠ ও ডালপালা সরিয়ে নিচ্ছে—এমন খবর পেয়ে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াজেদ আলী খান ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান গাছটির মাথা কেটে ফেলা হয়েছে এবং কাঠ সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়দের সহায়তায় দুইজনকে ঘটনাস্থলেই আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো—কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ খানপাড়া এলাকার মৃত নবজেস খানের ছেলে আলহাজ্ব শাহজাহান খান (৬৪) এবং একই এলাকার মোঃ রফিক খানের ছেলে মোঃ মাসুদ (৪৫)। তবে একই এলাকার মৃত জয়নাল কাজীর ছেলে মোঃ খায়রুল কাজী (৪০) ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটক দুজনকে হেফাজতে নেয় এবং তাদের কাছ থেকে কাটা পাকৈর গাছের অংশ উদ্ধার করে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে।
ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াজেদ আলী খান বলেন, সরকারি সম্পদ কেটে নেওয়া রাষ্ট্রীয় অপরাধ। খাসজমির গাছ কাটা মানে প্রকৃতি ও সরকারি সম্পদের ক্ষতি করা। আমরা প্রশাসনের নির্দেশে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
এ বিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন, সরকারি খাসজমির প্রতিটি ইঞ্চি এবং তাতে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় জেলা প্রশাসন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট বা দখলের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে আমরা সম্পদ রক্ষায় আরও সচেতন হতে আহ্বান জানাই।
কাশিমপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।