দি সিলেট ইসলামিক সোসাইটির কার্যকরি সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, একটি জাতিকে গড়ে তোলার পেছনে শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। শিক্ষকরা যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন তবে একটি প্রজন্মকে নৈতিক, আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে তৈরি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আজকের এই সমাজে নানা ধরণের অস্থিরতা, অনৈতিকতা ও মূল্যবোধহীনতার অন্যতম কারণ হচ্ছে শিক্ষক সমাজকে যথাযথ সম্মান না দেওয়া। শিক্ষকরা যদি কেবল পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে শিক্ষার্থীদের জীবন গঠনের দিকনির্দেশনা দেন, তবে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আমাদের প্রয়োজন আদর্শ শিক্ষক-যারা শুধুমাত্র জ্ঞান নয়, বরং মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার দীক্ষা দিতে পারবেন। সুস্থ সমাজ বিনির্মাণ ও আগামী প্রজন্মকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দকে কাংখিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলে দেশ জাতি ও সমাজ উপকৃত হবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা পাঠানটুলার শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ লুৎফুর রহমান হুমায়দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ উপাধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা কমর উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক সালাহ উদ্দিন, মুহাদ্দিস মাওলানা হাবীব উল্লাহ, সহকারী অধ্যাপক ফারুক আহমদ, মুফতি আলী হায়দার ও মাওলানা আলাউদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশে মাদ্রাসার সকল পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের রাষ্ট্র ও সমাজের নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদেরকে সঠিক পথে গড়ে তোলাই শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের মনে নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, সত্যনিষ্ঠা ও মানবিকতা সৃষ্টি করতে না পারলে তারা কখনো জাতির প্রকৃত সম্পদ হয়ে উঠতে পারবে না। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শুধু জ্ঞান দেবেন না, বরং তাদের চরিত্র গঠনে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করবেন। জাতি তখনই সমৃদ্ধ হবে যখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মাঝে সত্য, সততা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করবেন।
সভাপতি বলেন, শিক্ষকতা কেবল একটি পেশা নয়, এটি একটি আমানত। সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্র আমাদের কাঁধে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। শিক্ষকরা যদি শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা এবং আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তবে শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলাবদ্ধ, জ্ঞানসমৃদ্ধ ও চরিত্রবান মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠবে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।