কুমিল্লা
কুমিল্লা অফিস : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর উদ্যোগে গাজায় ইসরাইলের নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকাল ৫টায় কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র টাউন হল মাঠে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মু. মোছলেহ উদ্দিন, নায়েবে আমীর অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন।
নগর জামায়াতের সেক্রেটারি মু. মাহবুবুর রহমান এর পরিচালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মু. কামারুজ্জামান সোহেল, মোশারফ হোসাইন, নাছির আহম্মেদ মোল্লা, কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি হাসান আহম্মেদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নগরীর টাউন হল মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন, মহানগর জামায়াতের অফিস সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী নজির আহম্মেদ, লুৎফুর রহমান খান মাসুম, অধ্যাপক মজিবুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের নিকৃষ্টতম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং আরব লীগের নীরব ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক।
ফিলিস্তিনের গাজায় মুসলমান নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ ইসরাইলী সকল পণ্য বয়কট করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া গাজাবাসীদের রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাকে দেশব্যাপী ইসরাইলী বর্বরতার বিরুদ্ধে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ন্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াত। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হলে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগরী আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল, জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল করীম, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র। তাদের উপর সন্ত্রাসী বর্বর ইসরাইলী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের প্রতি আমরা আহ্বান জানাবো ইসরাইলী হামলা বন্ধ করেন। আপনারা সারা বিশ্বে মানবতার শান্তির বুলি উড়ান; ফিলিস্তিনে হাজার হাজার শিশু হত্যা চালাচ্ছে এখন আপনাদের মানবতা কোথায়?
বক্তারা আরও বলেন, মুসলিম বিশ্বকে জেগে উঠতে হবে। ফিলিস্তিনের প্রতিটি হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে। আমার ভাইদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেবো না।
আমরা বাংলার জমিন থেকে বলতে চাই আল-আকসা আমাদের। ফিলিস্তিনকে তার সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সাথে দেশবাসীকে ইসরাইলী সকল পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান বক্তারা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আল হেলাল তালুকদার, সহকারী সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন সুজন, মহানগর জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ মুজাহিদসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
নোয়াখালী
মাইজদীকোর্ট নোয়াখালী জেলা শহরে গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে দিনভর বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ করেন নোয়াখালীর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, সকাল দশটায় ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে, এর পরে ইশা ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী, শহরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে মিছিল করে, বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ছাত্র জনতা একত্রে বিক্ষোভ মিছিল করে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করে, বাদ আছর জেলা মডেল মসজিদ হতে হাজার হাজার লোকের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা নিজামুদ্দিন ফারুক, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, নোয়াখালী শহর আমীর মাওলানা মো ইউসুফ, শিবির সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান, এড তাজুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন মানিক জনাব দেলোয়ার হোসেন মানিক প্রমুখ। মিছিল পৌর বাজারে এসে সমাপ্ত হয়।
খুবি
খুলনা ব্যুরো : ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলী বর্বর আগ্রাসন ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ইসরাইলী আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছে। তাদের বর্বরতা থেকে নারী-শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছে না। অনবরত বোমার আঘাতের মসজিদ-মাদরাসা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিশ্ব মানবতা তার দিকে কোনো নজর দিচ্ছে না। তাদের নীরব ভূমিকার কারণে প্রতিনিয়ত হামলার মাত্রা তীব্র হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দখলদার ইসরাইলী বর্বরতা রুখে দিতে অখন্ড ফিলিস্তিনের পক্ষে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গাজা, পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনের সব অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মুসলিম বিশ্বকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, বছরের পর বছর ইসরাইলের হামলার শিকার হচ্ছেন ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষরা। অথচ বিশ্ব মোড়ল তথা পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলের এ বর্বরতাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। যেসব শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াচ্ছে কিংবা সমর্থন দিচ্ছে, তাদের ভিসা বাতিল করছে। এ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী। তিনি বলেন, মুমিনরা কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ফিলিস্তিনের জনগণকে অধিকার ও স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরিয়ে দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে যার যার অবস্থান থেকে দাঁড়াতে হবে। এতে বিশ্বে একটা জনমত তৈরি হবে। আরব দেশগুলো বসে থাকলেও আমরা এক্ষেত্রে বসে থাকবো না। ফিলিস্তিনীদের পাশে থাকা মানবতার দায়িত্ব বলেও অভিহিত করেন তিনি। এ সময় তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সামর্থ্য অনুযায়ী ফিলিস্তিনী অ্যাম্বাসিতে ডোনেশন দেয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত এবং সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের ’২১ ব্যাচের শানিল সরদার, ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের তামিম।
পরে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ হাদী চত্বর থেকে র্যালি সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন শিক্ষার্থী তমিজ।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলী বর্বর আগ্রাসন ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংহতি প্রকাশ করে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ডিসিপ্লিনে আজ (সোমবার) স্পেশাল টার্মের পরীক্ষা ছিল, তা স্থগিত করা হয়।
রাবি
রাবি রিপোর্টার: গাজায় ইসরাইলী বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এদিকে ফিলিস্তিনীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এই সমাবেশ হয়। এতে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, বিশ্বজুড়ে নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবস্থান নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক দায়িত্ব। জাতিসংঘ বা ওআইসি নয়, শিক্ষার্থীদের যোগ্যতাই স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, আজ মুসলিম বিশ্ব বিভক্ত বলেই এমন সাহস পাচ্ছে হামলাকারীরা। ঐক্যবদ্ধ না হলে একে একে পুরো মুসলিম বিশ্ব ধ্বংসের মুখে পড়বে। কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বলেন, ১৯১৭ সালের চুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত ছোট রাষ্ট্র ইসরাইল আজ গাজাবাসীর ওপর নৃশংসতা চালাচ্ছে। শুধু ওআইসি বা মুসলিম ভ্রাতৃত্বের বুলি দিয়ে পরিবর্তন আসবে না। তাই আওয়াজ তুলতে হবে- ‘আর নয় প্রতিবাদ, এবার হোক প্রতিশোধ’, যা হবে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে। জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দীন খান, রেজিস্ট্রার ও আরবী বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ প্রমুখ।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর)
আগ্রাসী ইসরাইলী দখলদার বাহিনীর গাজা উপত্যকায় অব্যাহত গণহত্যা এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত সোমবার সকালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি সরিষাবাড়ী বাস টার্মিনাল হতে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভার আরামনগন বাজার গিয়ে শেষ হয়। এরপর আগত তৌহিদী জনতা সমবেত হয়ে একটি সমাবেশ করেন।
উক্ত সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোখলেছুর রহমান জমিরী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আঃ রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মুফতি রাকিব, পৌর শাখার সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ, মুফতি কামরুজ্জামান, ছাত্র সমাজের ওয়াকিবুল ইসলাম মেহেদী প্রমুখ।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসার আলেম-উলামা, শিক্ষার্থী ও তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনী মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয় এবং দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি গোলাম রব্বানী।
শ্রীপুর (মাগুরা)
মাগুরায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ফিলিস্তিনে ইসরাইলী নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক এম বি বাকেরের সভাপতিত্বে ও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক সাইদ আহমেদ বাচ্চু, সদর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফারুক হুসাইন, পৌরসভার আমীর অধ্যাপক আশরাফুল আলম, শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দিন মিজান, শালিখা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আফসার আলী, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি মোঃ আমিন উদ্দিন আশিকসহ অন্যরা।
সমাবেশ শেষে নোমানী ময়দানে থেকে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বক্তরা সকল প্রকার ইসরাইলী পণ্য বর্জনসহ ইসরাইলের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করা আহবান জানান।
নীলফামারী
গাজায় ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে নীলফামারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা জায়ায়াত। সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে নীলফামারী বড় বাজার থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরঙ্গী মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা দেন নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতীফ। উপস্থিত ছিলেন শহর আমীর অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ, শূরা সদস্য ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা বলেন, নারী, শিশু ও নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরাইলী হামলা আজ মানবতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। অথচ বিশ্ব আজ নিশ্চুপ। কোথায় গেল সেই মানবতা, কোথায় গেল নৈতিকতা? ইসরাইলী দখলদার বাহিনী গাজায় নির্মমভাবে মানুষ হত্যা করছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞ দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। এসময় সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার আহ্বান জানান তারা।
গাজায় ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে নীলফামারীর জলঢাকায় ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা।
সোমবার (৭ মার্চ) জলঢাকা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্ট গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
জলঢাকার আপামর ছাত্র জনতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন। আয়োজক কমিটির নাহিদ বলেন, দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। গাজায় ইসরাইলী দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নেত্রকোনা
সন্ত্রাসী, দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক গাজায় নিষ্ঠুর গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আজ সোমবার দিনভর দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ করে খেলাফত আন্দোলন নেত্রকোনা জেলা শাখার নেতাকর্মী ও মুসল্লীরা। দুপুর ২টায় নেত্রকোনা বড়বাজার শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে জেলা খেলাফত আন্দোলন উদ্যোগে বিভিন্ন ইসলামী দলের কর্মী ও মুসল্লীরদের নিয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের বড়বাজার মসজিদের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মুহাম্মাদ আবদুর রহীম রুহী, জেলা খেলাফত আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা খাইরুল বাশার, খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারি মাওলানা আসাদুর রহমান আকন্দ, ইসলামী আন্দোলন নেত্রকোনা জেলার সভাপতি নুরুল ইসলাম হাকিমি, বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিদার লস্কর, শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মোতালিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মুহাম্মদ শাহ্ আলম প্রমুখ। এসময় খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মুহাম্মাদ আবদুর রহীম রুহী গাজায় ও ভারতে মুসলিম হত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, আবর লীগ, ওআইসি ও কমনওয়েলথ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে তারা শুধু শান্তিচুক্তি ভঙ্গই করেনি বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু এসব করে দখলদার ও নরেন্দ্র মোদির আগ্রাসী বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না বরং অচিরেই ইসলাম ও মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ।
এই রিপোর্ট লিখার সময় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ রেখে হরতালে সংহতি প্রকাশ করে মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
শাজাহানপুর (বগুড়া)
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা জামায়াতের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে মাঝিড়া বাসস্ট্যান্ড যেয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হাফেজ মোখলেছুর রহমান মুকুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাজাহানপুর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ আব্দুর রহমান, উপজেলা নায়েবে আমীর আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ প্রামাণিক, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা শহিদুল ইসলাম, বায়তুলমাল সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ আব্দুল মোমিন, উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি প্রভাষক মাওলানা মোঃ কাওসার আলী, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল মান্নান, উপজেলা যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, উপজেলা অফিস সম্পাদক অধ্যাপক গাজীউর রহমান, উপজেলা তারবিয়াত সম্পাদক মাওলানা মোঃ আব্দুর রশিদ, উপজেলা মজলিশে শূরা সদস্য মোঃ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আব্দুর রউফ খাঁন, ইসলামী ছাত্রশিবির শাজাহানপুর শহর সভাপতি মোঃ আবু সাইম, শাজাহানপুর পূর্ব সভাপতি মোঃ সাবিরুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরাইলের সন্ত্রাসী, অবৈধ রাষ্ট্র শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের সাড়ে সাত শ কোটি মানুষের অন্তরে আঘাত করেছে। এ হামলার মাধ্যমে তারা শুধু শান্তিচুক্তি ভঙ্গই করেনি, বরং যুদ্ধাপরাধ করেছে। তিনি বলেন, এসব করে দখলদার আগ্রাসী বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না। বরং ইসলাম ও মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হবে। গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য চূড়ান্ত বিজয় অপেক্ষা করছে।
গাজীপুর মহানগর
জায়নবাদী আগ্রাসী ইসরাইল কর্তৃক নিরীহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনের গাজায় অমানবিক নিষ্ঠুর হামলার প্রতিবাদে আজ ৭ এপ্রিল সোমবার বাদ আছর জয়দেবপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মুহা: জামাল উদদীনের সভাপতিত্বে ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুহাম্মদ ফারুকের সঞ্চালনায় উক্ত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ খায়রুল হাসান, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ হোসেন আলী, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গাজীপুর সদর মেট্রোথানা আমীর মোঃ সালাউদ্দিন আইয়ুবী। বক্তারা ইসরাইল কর্তৃক অমানবিক নিষ্ঠুর আগ্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে নিরীহ নিরপরাধ শিশু নারী পুরুষদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, এ এইচ এম ইরফানুল হক, গাজীপুর মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য ও টঙ্গী পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোঃ এখলাস উদদীন, মোঃ নেয়ামত উল্লাহ শাকের, মহানগর শিবির সভাপতি মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিলে হাজার হাজার তৌহিদী জনতা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সকাল থেকেই গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ছাত্রছাত্রী ও সর্বসাধারণের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চৌগাছা (যশোর)
ফিলিস্তানের গাজায় দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে এক প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।
৭ এপ্রিল বিকেলে কামিল মাদরাসা থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলার প্রেস ক্লাব চত্বরে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা গোলাম মোরশেদ, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাও. নুরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার কামাল আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল খালেক প্রমুখ।
‘দ্যা ওর্য়াল্ড স্টপ ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইল যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন এবং মানবতার চরম লঙ্ঘন। যেকোনো যুদ্ধের ক্ষেত্রে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের হামলার বাইরে রাখা হয়। অথচ ইসরাইল সুপরিকল্পিতভাবে তাদের লক্ষ করেই এই হামলা চালাচ্ছে। তারা শুধু গাজার কাঠামোই ধ্বংস করছে না, ফিলিস্তিনীদের চিরতরে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে গণহত্যা চালাচ্ছে। আর বিশ্বে যারা মানবতার কথা বলেন সেই যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় মদদ এবং সরাসরি সহযোগিতা করছে। বক্তারা আরও বলেন, ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন পলাতক আসামী যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে আগে থেকেই মামলা রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আমাদের দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে তাকে বিচারের আওতায় এনে সঠিক বিচার নিশ্চিত করা হয়।
ডুমুরিয়া (খুলনা)
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল সোমবার বিকাল ৫টার সময় বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মুখতার হুসাইন এর নেতৃত্বে মিছিলটি জমাদ্দার মসজিদ থেকে শুরু করে সমগ্র ডুমুরিয়া সদরের সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডুমুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র শিবির সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রশিদ বিশ্বাস ও মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, কর্মপরিষদ সদস্য বিএম আলমগীর হোসেন, মাওলানা আমানুল্লাহ, মাওলানা সাইদুল্লাহ, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাস্টার মুস্তাক চৌধুরী, মাওলানা মোস্তফা কামাল, মাওলানা বেলাল হুসাইন, মাওলানা আব্দুল মান্নান, আবুল হোসেন, মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা আব্দুল হালিম, আব্দুল গনি খান, আবদুল হান্নান, মাওলানা আব্দুর রশিদ আল আজাদ, শিবিরের সাবেক থানা সভাপতি শেখ মোসলেম উদ্দিন, হাফেজ মঈন উদ্দীন, মাওলানা রুহুল আমীন, ফরিদ হোসেন, শ্রমিক নেতা মাহমুদ আলম জাহাঙ্গীর হুসাইন, শিবিরের থানা সভাপতি শামিদুল হাসান লিমন, আবু তাহের প্রমুখ।
ফেনী
ফিলিস্তিনে ইহুদীদের বর্বরতার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেনী শহর ও সদর উপজেলার উদ্যোগে গতকাল সোমবার বাদ আছর ফেনী শহরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মুফতি আবদুল হান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর একেএম শামছুদ্দিন, নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক আবু ইউসুফ, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম, শহর আমীর ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, সদর আমীর মাওলানা নাদেরুজ্জামান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, গতকাল একই সময় জেলার সোনাগাজী, দাগনভূঞা, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লালমনিরহাট
সোমবার ৭ এপ্রিল বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লালমনিরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে। ইসরাইলী বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও উপর্যুপরি বিমান হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রদক্ষিণ শেষে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা আমীর এ্যাভোকেট আবু তাহের এর নেতৃত্বে জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলুসহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পযার্য়ের জামায়াত নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন।