গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আবাসিক হোটেলে রাতভর ধর্ষণের পর ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ হোটেল থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে এবং জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার উত্তর সাজুরিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম মোহন (২২) ও পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচুড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আতিকুর রহমান (২৩)। তারা দুজনই কালিয়াকৈরের আশুলিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মৃত কিশোরী গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়া কৃষ্ণপুর গ্রামের জুবায়দুল ইসলামের মেয়ে জোনাকি (১৭)।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবক জোনাকিকে নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় অবস্থিত আব্দুল মান্নান প্লাজার একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। সেখানে মমিনুল ইসলাম একাধিকবার ধর্ষণ করলে জোনাকির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে সহযাত্রী আতিকুর রহমান তাকে একটি ফার্মেসিতে নিয়ে কিছু ওষধ প্রয়োগের চেষ্টা করে, কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তারা কিশোরীকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তারা একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ঢাকা যাওয়ার পথে কিশোরী মারা যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্স চালক বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করে কৌশলে গাড়িটি মির্জাপুর থানায় নিয়ে যান।

মির্জাপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে দুই যুবককে আটক করে এবং ঘটনাটি কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে জানায়। পরে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মান্নান বলেন, “মৃত কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।