কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোঁপুকুরিয়া মসজিদ মোড় থেকে কাশেমের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক।

গত ৭০ বছরেও গ্রাম্য এই সড়কটি পাকাকরণ হয়নি। বর্তমানে চরম বেহালদশায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে সড়কটি। সংস্কারের অভাবে সড়কজুড়েই খানাখন্দে ভরা। চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই এলাকাবাসীর।

কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে দুই পাড়। সড়কটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে ভ্যানের উপরই ডেলিভারি হয়ে

যায় প্রসূতির। সড়কের দুই পাশে হাজার পরিবারের বসবাস। যদিও ২০ বছর আগে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান ইট দিয়ে এইচবিবি (হেরিং বোন বন্ড) করেছিলেন, যার চিহ্ন রয়েছে।

পল্লীর এই রাস্তায় অতিরিক্ত ভাড়ায় ভ্যান চললেও যেতে চায় না অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নানা বয়সী এলাকার মানুষ। জরাজীর্ণ সড়কটি পাকাকরণের দাবিতে ৩১ আগস্ট বিকেলে সোঁপুকুরিয়া মসজিদ মোড়ে মানববন্ধনও করেছে অত্র গ্রামবাসী।

এলাকাবাসিরা জানান, ভোটের সময় নেতারা আসে। প্রতিশ্রæতি দেয় পাকা করে দেবো। ভোট গেলে আর কেউ খোঁজ নেয় না। একজন গৃহবধূ বলেন, বিয়ের পর ৪০ বছর ধরে দেখছি একই রকম রাস্তা। আপদে-বিপদে একটা ভ্যানও আসতে চায় না। বিয়ের গাড়ি পর্যন্ত উল্টে গেছে এখানে।

আক্ষেপ করে গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন আরও বলেন, রাস্তাটি এত খারাপ যে ভ্যানের উপরই ডেলিভারি হয়ে যায়। নন্দলালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রায়শা রহমান বলে, উঁচু-নিচু সড়কে ঝাঁকুনি আর ঝাঁকুনি। বৃষ্টির সময় কাদা-পানি জমে থাকে। দুর্ঘটনা ঘটে, পোশাক নষ্ট

হয়। দ্রুত কার্পেটিং করার দাবি জানাচ্ছি।