গাইবান্ধা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের মনমথ সরদারপাড়া গ্রামে জরিনা বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধুর উদ্ধার করেছে পুলিশ। জরিনার স্বামীর দাবি, তার স্ত্রী ঘরের মধ্যে রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে যৌতুকের কারণে জামাইসহ পরিবারের সদস্যরা জরিনাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেছেন জরিনার বাবা। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জরিনা বেগম ওই গ্রামের মোনাফ আলীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে জরিনার স্বামী মোনাফ আলী তার শ্বশুর নুরুন্নবী মিয়াকে আত্মহত্যার খবর দেয়। খবর পেয়ে স্বজনেরা ছুটে এসে জরিনার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে বিষয়টি থানায় জানালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২ বছর আগে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামের নুরুন্নবী মিয়ার মেয়ে জরিনা বেগমের সাথে বিয়ে হয় মনমথ সরদারপাড়া গ্রামের মফিজল হকের ছেলে মোনাফ আলীর। বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। নুরুন্নবী মিয়ার দাবি যৌতুকের কারণে তার জামাইসহ পরিবারের লোকজন জরিনাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে রেখেছে। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।