DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

চাকরি থাকা না থাকার দোলাচলে

খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারিদের মানবেতর জীবন যাপন

চাকরি আছে আবার চাকরি নেই এমন অবস্থা দিন যাচ্ছে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের ৮৮ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্র। চলছে মাহে রমযান আর কদিন পর আসছে ঈদ-উল ফিতর। ঈদের সময়ে খরচ চলবে কিভাবে তাদের

খুলনা ব্যুরো
Printed Edition
DailySangram-Logo

চাকরি আছে আবার চাকরি নেই এমন অবস্থা দিন যাচ্ছে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের ৮৮ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্র। চলছে মাহে রমযান আর কদিন পর আসছে ঈদ-উল ফিতর। ঈদের সময়ে খরচ চলবে কিভাবে তাদের বেতন হবে না এমনকি চাকরি করছে এর বেতন ভবিষ্যতে হবে কিনা বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দিকে গেল তিন মাস যাবৎ কোন বেতন নেই। এমনকি এর আগের হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস কর্তৃক গেল জুন মাসে ৬৩জন আউটসোর্সিং কর্মচারিদের বাদ দিয়ে দেয়। এসব বাতিল হওয়া আউটসোর্সিং কর্মচারীদের মধ্যে অনেকে আছে যারা এখনও পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিস কাজ করছে। যদি ভবিষ্যতে জনবল আবারও বৃদ্ধি করে তাদের চাকরি হবে এমন আশায় ফ্রি কাজ করছে।

এ দিকে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গেল ১৮ই নবেম্বর বিভিন্ন পদে ৮৮ জন আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহ জন্য দরপত্র আহ্বান করে যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিশিয়ান ১জন, প্লাম্বার ১ জন, জেনারেটর অপেরেটর ২জন, মালী ২ জন, লিফটম্যান, ৩ জন, ওয়ার্ড বয় ২৬ জন, আয়া ১৭ জন, টেবিল বয় ২ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মি ২৮ জন, মশালচী ২ জন।

এছাড়া পত্রে উল্লেখ্য করা হয় ৫ই ডিসেম্বর দরপত্র জমা দিতে হবে। এতে করে আগ্রহী ঠিকাদারেরা এই দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে প্রায় ২৬ জন বিভিন্ন নামের কোম্পানি শিডিউল ক্রয় করে। এর মধ্যে শিডিউল জমা দেওয়ার আগের দিন ৪ ই ডিসেস্বর উচ্চ- আদালতে থেকে দরপত্রে সকল কার্যক্রম তিন মাসের জন্য বন্ধের জন্য রিট করে আদেশ জমা দেন আলামিন নামে এক যুবক। তারপর থেকে থমকে যায় দরপত্র কার্যক্রম।

তবে কেন আর কী কারণে তিনি এমনটি করেছেন সে বিষয়ে আলামিন বলেন, দরপত্রে শিডিউলে যেসব কথা উল্লেখ রয়েছে এতে করে একটি পক্ষকে কাজ দেয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। গেল ১৭ বছর আওয়ামী লীগের আমলে কোন ঠিকাদার শিডিউল ক্রয় করতে পারেনি এই হাসপাতাল থেকে। শিডিউল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সবার সামনে। সব অভিজ্ঞতা এখন তাদের কোম্পানীর। যে কারণে আমি রিট করেছি যেন আবারও স্বৈরাচারের দোসররা সুযোগ না পায়।

এ ব্যাপারে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, আমরা সঠিক সময়ে দরপত্র আহ্বান করেছিলাম তবে একজন ব্যক্তি উচ্চ আদালত রিট করলে আউটসোর্সিং নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আমরা এ বিষয়ে আইনগতভাবে মোকাবেলা করছি। পাশাপাশি গরীব মানুষ যেন বেতন পায় আমরা সে জন্য চিঠি দিয়েছি আমাদের মন্ত্রণালয়ে। আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে যেন এদের জন্য কিছু করতে পারি।