সিলেটের জকিগঞ্জে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ডাকাতি ও হামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ না করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পীরনগর গ্রামের ক্ষুদে ব্যবসায়ী আয়নুল হক। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে আয়নুল হক বলেন, গত ৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সদস্যরা তার দোকানের দরজা লোহার শাবল দিয়ে খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা গামছা ও রশি দিয়ে তাকে বেধে ফেলে। এরমধ্যে তিনি ডাকাতদলের পাবেল আহমদ, বাবুল আহমদ ও নাহিদ ইসলামকে চিনে ফেলেন। মুখোশ পরা থাকায় অন্যদের তিনি চিনতে পারেননি। এ সময় আয়নুল হক ধস্তাধস্তি করলে ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। একপর্যায়ে তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা দোকানের ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ ৫২ হাজার টাকা ও লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ী জানান, তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য প্রথমে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিন তদন্ত করে যায়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের সাথে জকিগঞ্জ থানায় কর্মরত এস আই সুমনের যোগসাজশ রয়েছে। এমনকি অভিযুক্ত পাবেলের বাড়িতে এস আই সুমনের আসা-যাওয়াও রয়েছে। তিনি বিষয়টি মৌখিকভাবে একাধিকবার জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করলেও ওসি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আয়নুল হক দোকানের মালামাল লুট ও হামলার ঘটনার বিচার নিশ্চিতে অবিলম্বে মামলা গ্রহণ ও ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
হাওরে বজ্রাঘাতে দুই কৃষকের মৃত্যু : বৈশাখ মাসের ৩য় দিনে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ এলাকার মনিরুল ইসলাম (২২) ও একই এলাকার কপিল উদ্দিন (৪৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে শিবপাশা গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাওরে ধান কাটতে যায় একদল কৃষক। বিকেলে হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বজ্রপাত শুরু হলে মনিরুল ও কপিল উদ্দিন বজ্রাঘাত হন। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। আজমিরীগঞ্জ থানার (ওসি) মাইদুল হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।