ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে বরিশালে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের সর্বস্তরের জনগণে ব্যানারে কর্মসূচি পালিত হয়। সকালে ৩০টি ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে সদর রোডে জড়ো হয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম করে শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতকে মেয়র ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ফয়জুল করিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে জনগণের সরকার দেশ পরিচালনায় থাকায় তারা সুষ্ঠু বিচারের আশায় মামলা দায়ের করেছেন। সেখান থেকে ফয়জুল করিমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান তারা।

এরপর টাউন হলের সামনে থেকে বের হওয়া গণমিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান গেটে অবস্থান নেন তারা। বিক্ষোভকারীরা ফয়জুল করিমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।

গত বৃহস্পতিবার বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও সিটি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন মুফতি ফয়জুল করিম। মামলায় তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তাকে বিজয়ী ঘোষণার আবেদন জানান। আজকে মামলার সুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আদালত ২৪ এপ্রিল মামলার শুনানি হবে বলে দিন ধার্য করে। উল্লেখ্য, মামলার পর থেকে বরিশালের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের পক্ষ থেকে মুফতি ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবি দিনদিন জোড়ালো হয়। বিএম কলেজ বরিশাল-এর রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর লোকমান হাকিম এ গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের পঞ্চম পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত পান ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফয়জুল করিম হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছিলেন ৩৩ হাজার ৮২৮টি, ৫৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে ফয়জুল করিম পরাজিত হয়েছিলেন।