DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ

দুই মাসের বকেয়া বেতন ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সোয়া ৪টা থেকে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর
Untitled

দুই মাসের বকেয়া বেতন ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সোয়া ৪টা থেকে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও অবরোধ

শ্রমিক ও পুলিশের সূত্র জানায়, চন্দ্রা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ মার্চ মাসে বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ১০ মার্চ পেরিয়ে যাওয়ার পরও তারা টাকা পাননি। সোমবার সকালে বেতন চাইতে গেলে কর্তৃপক্ষ সময়ক্ষেপণের কৌশল নেয়, যা শ্রমিকদের ক্ষোভ বাড়িয়ে দেয়।

বেলা ৩টার দিকে শত শত শ্রমিক কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা বকেয়া বেতন ও বাৎসরিক ছুটির অর্থ দ্রুত পরিশোধের দাবি জানান। একপর্যায়ে তারা সড়কে নেমে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন, ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা বলেন, "প্রতিবারই বেতন নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করে। এবার আর ধৈর্য ধরতে পারছি না, তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।"

তারা আরও বলেন, "বেতন না পেয়ে ধারদেনায় জর্জরিত। দোকান থেকে নেওয়া বাকির টাকা দিতে পারছি না, ঘরভাড়া বাকি পড়ে গেছে। আমাদের আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই।"

পুলিশের উদ্যোগ ও হস্তক্ষেপ

ঘটনার খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) মোঃ খলিলুর রহমান জানান, "মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের আশ্বাসে বেলা ৫টার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।"

তিনি আরও জানান, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে শ্রমিক অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

১. মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা দ্রুত পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২. শ্রমিকদের অবৈধভাবে সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

৩. শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও মালিকদের সচেতন করতে নিয়মিত সভা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশের এসব উদ্যোগের ফলে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনার পথ সুগম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।