বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি মজলুম সংগঠন। শত প্রতিকুলতার মধ্যে ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার সামাজিক এবং মানবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখেনি। আমরা একদিকে যেমন জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করছি অন্যদিকে মানবিক সেবা নিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের বাড়িতে এবং ঘরে ঘরে গিয়েছি। জামায়াতে ইসলামী আজ নতুন বাংলাদেশে আস্থার প্রতীক। আমাদের নেতাকর্মীরা কখনো কোন অন্যায়, অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলোনা। শুধু দেশের মানুষ প্রবাসী অধিকার আদায়ে ও জামায়াতে ইসলামী সবসময় তৎপর ছিলো। সুতরাং জামায়াতে ইসলামী শুধুমাত্র দেশে নয়, বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয় দল, আলহামদুলিল্লাহ। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দেবে। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালে দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েও জামায়াতের কৃষি, শিল্প ও সমাজকল্যাণ তিন মন্ত্রণালয়ে এক টাকার দুর্নীতির অভিযোগও প্রমাণিত হয়নি। তাই মানুষ এখন আবারও জামায়াতের শাসন দেখতে আগ্রহী। বৃহস্পতিবার খুলনা-৩ আসনের যোগীপোল ইউনিয়েনের বাদামতলা এলাকায় গনসংযোগকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় যোগীপোল ইউনিয়নের আমীর ইসমাইল হোসেন, সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মুজিবর রহমান মোড়ল, আল আমীন, আক্তার হোসেন, মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা আবুল কালাম, মোহাম্মদ নূরে আলম, মুফতি নাজমুল হাসান, শেখ আলাউদ্দিন, রবিউল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, মাওলানা মিজানুর রহমান, মো. মাসুম, মনিরুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মোতাহার হোসেন, মো. জালাল উদ্দিন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. ডালিম শেখ, মো. নাসিম আহমেদ, মো. মিলন ও নাজমুস সাকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা-৩ আসনের এই এমপি প্রার্থী বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রম হলেও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। এ জন্য আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে পরিবর্তনের শুভ সূচনা করতে সকলকে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাস চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামই একমাত্র পারে। সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়তে সুদ ঘুষ দূর্নীতিমুক্ত উন্নত রাষ্ট্র গঠনে জামায়াত কে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।