মাগুরা সংবাদদাতা: মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসে ভুয়া ঠিকানার তথ্য দিয়ে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে এক উপ-সহকারী পরিচালকসহ দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে তদন্তের দাবি তুলেছেন সচেতন এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো.আলী সাজ্জাদ নিয়োগ পেয়েছেন ঝিনাইদহ জেলার একটি ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে। অথচ তার পূর্বপুরুষ এবং পরিবার মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার আউনাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা মো.দবির মাষ্টার ছিলেন আউনাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। চাকরি পাওয়ার পর মো.আলী সাজ্জাদ ভুয়া ঠিকানার অভিযোগ ঢাকতে ঝিনাইদহে জমি ও বাড়ি কিনেছেন। কিন্তু ঝিনাইদহের স্থানীয় সার্ভার স্টেশনে খোঁজ নিয়ে তার স্থায়ী ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সরকারি গাড়ির অপব্যবহার,ঘুষ-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।সরকারি দায়িত্ব পালনের বদলে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সরকারি সম্পদ এমন অভিযোগও উঠেছে আলী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে। মাগুরা ফায়ার সার্ভিসে ব্যবহৃত পাঁচটি গাড়ির মধ্যে ‘ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ’ (ফোটন) গাড়িটি অধিকাংশ সময় ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন তিনি। এছাড়া ঘুষ ছাড়া কোনো দাপ্তরিক কাগজে স্বাক্ষর না করার অভিযোগও রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলী সাজ্জাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “ফায়ার সার্ভিসে নিজ জেলায় চাকরি করা যায়। সাংবাদিকরা যা লেখে, কিছু যায় আসে না।” তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল ৮ জুলাই দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, “মাগুরার বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবাপ্রতিষ্ঠানে এমন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আস্থা হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ ব্যাপারে সাজ্জাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান- আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।