মোংলা সংবাদদাতা: বাগেরহাট-৩ সংসদীয় আসন বিলুপ্ত করে মোংলা ও রামপালকে পৃথক আসনে রূপান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাহার না করলে মোংলা বন্দর অচল করে দেওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মোংলা উপজেলা শাখার নেতারা। তারা বলেন, সরকারের সঙ্গে মোংলার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং শক্তিশালী গণআন্দোলনের মাধ্যমে চারটি আসন পুনরুদ্ধার করা হবে। বক্তারা এটিকে “বাঁচা-মরার লড়াই” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রয়োজনে জীবন দিয়েও রামপাল-মোংলা আলাদা হতে দেওয়া হবে না। সম্প্রতি মোংলা উপজেলা চত্বরে বিএনপি উপজেলা শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এই কর্মসূচিতে নেতারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বক্তারা বলেন, জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হলে আসনসংখ্যা হ্রাস নয়, বরং জনগণের বাস্তব অংশগ্রহণ ও ন্যায্য প্রতিনিধিত্বই হওয়া উচিত। তারা তিনটি আসনের পরিবর্তে চারটি আসন বহাল রাখার দাবি জানান এবং বলেন, এটি মোংলা উপজেলার প্রতিটি নাগরিকের যৌক্তিক দাবি।

বক্তারা নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবকে একটি “পরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র” হিসেবে অভিহিত করেন, যার মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার জনগণকে জাতীয় রাজনীতির মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা চলছে। তারা বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য একটি বড় হুমকি। প্রয়োজনে মোংলা বন্দরের জাহাজ চলাচলসহ সকল কর্মকা- বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন নেতারা।

বিক্ষোভ শেষে মোংলা উপজেলা চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হোসেন হাওলাদার (পনি), সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাকির হোসেন, মৃধা ফারুকুল ইসলাম এবং বিএনপি নেতা শেখ রুস্তম আলী। সমাবেশে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের (যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল) বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। নেতারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবির প্রতি যথাসময়ে সাড়া না পেলে রাজপথে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। যতদিন পর্যন্ত বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহাল না হবে, ততদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।