হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা পুলিশ অক্টোবর ২০২৫ মাসজুড়ে মাদক, অস্ত্র, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধ দমনে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, পুরো মাসে মোট ১০৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে নিয়মিত মামলায় ৪৫ জন, জিআর ওয়ারেন্টে ৪ জন, সিআর ওয়ারেন্টে ২৩ জন, জিআর সাজা ৬ জন, সিআর সাজা ৮ জন, জুয়া আইনে ৪ জন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় ৪ জন, পুলিশ আইনে ৪ জন এবং ৫৪ ধারায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় পুলিশ ৬৫০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ, ১৩০ গ্রাম গাঁজা, দুইটি গাঁজার গাছ ও ১৭৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

এছাড়া একটি চোরাই সিএনজি, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ি, ১৩টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। নিখোঁজ ৯ জন ভিকটিম উদ্ধার করে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়।

অক্টোবর মাসে সংঘটিত কয়েকটি আলোচিত মামলারও রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় হাটহাজারী থানা পুলিশ।

আলীপুর রহমানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র তানভির হত্যাকা-ে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৩ জন কিশোরকে আটক করা হয়।

মদুনাঘাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে হাকিম হত্যা মামলায় ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। ওই ঘটনায় ব্যবহৃত একটি শর্টগান, একটি কার্তুজ ও একটি পিস্তলের গুলিও উদ্ধার করে পুলিশ।

এছাড়া চিকনদ-ী ইউনিয়নের ফতেয়াবাদ চৌধুরীহাট এলাকার তানিম হোসেন ও অপি দাশ হত্যাকা-ের মামলায় ১ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।

হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও মাদক নির্মূলে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

গোমস্তাপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকা- ॥ দোকানের সর্বস্ব পুড়ে ছাই

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকা-ে একটি দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ২টার দিকে গোমস্তাপুর ইউনিয়নের গোমস্তাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাজারের “ভাই ভাই ভ্যারাইটিজ অ্যান্ড কোকারিজ” নামের দোকানে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পুরো দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দোকানের ভেতরে থাকা বিপুল পরিমাণ মালামাল পুড়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, পরে গোমস্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দোকানের মালিক চক পুস্তম গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সাদিকুল ইসলাম (৫০) জানান, “আমি দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর ফোনে জানানো হয় দোকানে আগুন লেগেছে। দৌড়ে এসে দেখি আমার দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আমি এখন একেবারে অসহায় অবস্থায় আছি।”

গোমস্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। তবে দোকান মালিকের দাবি, তার দোকানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল, যা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, অগ্নিকা-ের ঘটনায় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সময়মতো ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতে না পারলে আশপাশের আরও কয়েকটি দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত।