পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনার হেমায়েতপুরে স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জামায়াত নেতাসহ স্থানীয়দের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এসময় শহীদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

গতকাল রোববার বিকেলে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে হেমায়েতপুরের কুমারগাড়ী এলাকার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হচ্ছে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নয়নামতির মৌসির মৌলবীর ছেলে মাহমুদুল হাসান, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও আফুরিয়া গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে আবির হোসেন, চক পৈলানপুর মোড়ের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো: রানা, তানজিল ওরফে টুকাই তানজিল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি উজ্জ্বল হোসেন, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে বিএনপি নেতা রফিক হোসেন। প্রমুখ এদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক ও গরু ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে আনুমানিক ২৫/৩০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। একটি মুদিখানা দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করে। তারা অটোরিকশার গ্যারেজও ভাঙচুর করে। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিমসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়া হয়।