ভুয়া ঋণপত্র (এলসি) খুলে এবং ঋণ জালিয়াতি করে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১০২ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে ওয়েস্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ এস এম আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন। আব্দুল্লাহসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি গতকাল বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
আসামির তালিকায় অন্য যারা থাকছেন তারা হলেন- ওয়েস্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোকসান আরা আহমেদ, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হাসান মাহমুদ, পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক মির্জা মো. আনিছুর রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. শহীদ হাসান মল্লিক, সাবেক ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মুশফিকুল আলম, সাবেক ফরেন ট্রেড ইনচার্জ ও সিনিয়র অ্যাসিন্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএভিপি) দীপক কুমার দেবনাথ, সাবেক ক্রেডিট ইনচার্জ ও এসএভিপি মুহাম্মদ মেহেদী হাসান সরকার এবং সাবেক এভিপি মো. মাহমুদ মোস্তফা জিলানী।
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, ওয়েস্ট অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার তৎকালীন কর্মকর্তারা মিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন ট্রেড গাইডলাইন লঙ্ঘন করে ‘জালিয়াতি ও প্রতারণা’ করেন। তারা মোট ১৫টি ভুয়া বিক্রি চুক্তি তৈরি করে স্থানীয় ঋণপত্র খুলে কাগুজে লেনদেন দেখিয়ে ‘ফোর্সড লোন’ সৃষ্টি করেন। এর মাধ্যমে ব্যাংকের ৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়।
এছাড়া, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই দুটি অননুমোদিত ‘কমিটমেন্ট আইডি’ তৈরি করে অতিরিক্ত ঋণসুবিধা দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আরও ৬৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়। সব মিলিয়ে ব্যাংকটির ১০২ কোটি ৭ লাখ টাকা ক্ষতির অভিযোগ এনেছে দুদক।