বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, অতীতে যারা সরকারে ছিল তারা ভিন্নধর্মাবলম্বীদের অধিকার লুন্ঠন করেছে। ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সংখ্যালঘু বানিয়ে রেখেছিল। জামায়াতে ইসলামী সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগরিষ্ট নীতিতে বিশ্বাসী নয়। জামায়াতে ইসলামী মনে করে রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিক সমান। ইসলামী রাষ্ট্রের মূল শিক্ষা হচ্ছে কারো অধিকার নষ্ট না করা। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত হয়নি। এখনো তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে হলে ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিতে হয়। মন্দির ও মুর্তি পাহারা দিতে হয়। কারণ মানুষের তৈরি মতবাদে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না। ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার সমানভাবে নিশ্চিত করা হবে। ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনা মহানগরী দৌলতপুর থানার ১ নং ওয়ার্ডের মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ী বাজার মন্দির পরিদর্শন ও মন্দির কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্দির কমিটির সভাপতি শ্যামল কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার দে এর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি মাধব চন্দ্র রুদ্র ও চন্দন দাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক সমীর সাহা, কোষাধ্যক্ষ সুব্রত রুদ্র, দপ্তর সম্পাদক স্বপন কুমার রায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, দৌলতপুর থানা আমীর মোশারফ আনসারী, জামায়াত নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন, আজিজুর রহমান স্বপন, ডাক্তার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, রেজাউল কবির, ইসমাইল হোসেন পারভেজ, মুজাহিদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম, মালেক মুন্সি, সিদ্দিক মুন্সি, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।