হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ চারিয়া-মুরাদ সড়কের বেহাল দশায় দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের নয়াহাট বাজার থেকে আর্মি ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও শত শত যানবাহন চলাচল করে। সড়কটির দুই পাশে রয়েছে কৃষিজমি, ইটভাটা, বিভিন্ন খামার এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। জরুরি রোগী পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাক, অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহন প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কজুড়ে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দে যানবাহন প্রায়ই আটকে পড়ছে। বর্ষার পানি জমে এসব গর্ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ এক দশকেও সড়কটির উন্নয়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

অটোরিকশা চালক মো. আবদুল গফুর বলেন, “এই সড়কে গাড়ি চালানো এখন এক ধরনের যন্ত্রণা। প্রতিদিন গাড়ি নষ্ট হয়, মেরামতের খরচে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়।” মির্জাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জানান, “মুরাদ সড়ক এবং বোর্ড স্কুল থেকে পশ্চিম দিকের আশরাফ আলী সড়কের কাজ দ্রুত শুরু হবে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। আশা করছি চলতি বছরের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। কিছু বাধার কারণে আগে কাজ হয়নি।”

হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, “চারিয়া-মুরাদ সড়ক উন্নয়নের বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রকল্পটি মনোনয়নের জন্য ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (উচচ) মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে টেন্ডার প্রক্রিয়া ও সংস্কার কাজ শুরু হবে।”

এলাকাবাসীর আশঙ্কা, সড়কটি দ্রুত সংস্কার না হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।