চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, আহত জুলাই যোদ্ধাদের যথাযথ চিকিৎসা করা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা অর্ন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব। এটা তাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার। জুলাই ইতিহাস ভুলানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। আহত-নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত মোহাম্মদ আকাশকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আকাশের বাবা মো. এনামের সাথে কথা বলে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন।

ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরও বলেন, জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা স্বৈরাচারকে পতনের জন্য আকাশের মতো তরুণ যুবকরা রাজপথে নেমে গুলি খেয়ে, অন্ধত্ব বরণ করে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল, কেউ নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে শাহাদাৎ বরণ করেছিল বলেই আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট যেদিন স্বৈরাচার হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিল সেই আন্দোলন শুরু হয়েছিল একই বছরের ৬ জুন থেকে। এই আন্দোলনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে পুলিশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলী করতে থাকে। যা দেখে দেশের মানুষ ঘরে বসে থাকতে পারেনি। অবশেষে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে নতুন দেশ পায় দেশবাসী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, পাঁচলাইশ থানা আমির ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাসান রুমি, বায়েজিদ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আনিছুর রহমান চৌধুরী, ওয়ার্ড সভাপতি ইমরান সিকদার, আলমগীর আলম, ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম, ডা. আল আমিন, ডা. মহিউদ্দিন, আবুল হাসেম বাবুল, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।