রাজশাহীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশকে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে রাজনীতিবিদদের যেমন সাহসী হতে হবে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদেরও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাঁরা বলেন, ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স কক্ষে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের গুরুত্ব ও গণমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব’ শীর্ষক অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু। প্রধান বক্তা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী। সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহা: আবদুল আউয়াল। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব ও আরইউজের সাধারণ সম্পাদক ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকট আবুল কাসেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, আরইউজের সাবেক সভাপতি সরদার আবদুর রহমান ও আরইউজের সাবেক সভাপতি ডা. নাজিব ওয়াদুদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক, আরইউজের সহসভাপতি মঈন উদদীন, দৈনিক মানব জমিনের রাজশাহী প্রতিনিধি ডালিম হোসেন শান্ত প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন আরইউজের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন এবং বাকশালের কালো অধ্যায় বাতিল করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই তারা গণমাধ্যমকে টার্গেটে পরিণত করেছে।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেও দলটি একই ধারা অব্যাহত রাখে। মিনু আরো বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ এবং পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের এই বাংলায় আর স্থান দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেন, গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে রাজনীতিবিদদের যেমন সাহসী হতে হবে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদেরও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।