চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ও পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের এবং নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ছাত্রসমাজ উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনের প্রার্থীরা ভোটে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করেন। তিনি যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আহবান জানান। তিনি বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করলেই জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে জনগণের মাঝে আস্থা তৈরি হবে। দীর্ঘদিন ধরে জনগণের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে অনীহা তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে হলে গণতান্ত্রিক চর্চার ভিত্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকেই গড়ে তুলতে হবে। যদি ছাত্ররা অবাধে প্রার্থী বাছাই করতে পারে, নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তবে সেই আস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় পর্যায়েও প্রতিফলিত হবে। তাই ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ন্যূনতম হস্তক্ষেপ না করা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা। আজকের জাকসু নির্বাচনসহ আগামীর সকল ছাত্রসংসদ নির্বাচনগুলো অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনও পিআর পদ্ধতিতে সম্পন্ন করে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার ও মুহাম্মদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, হামেদ হাসান ইলাহী, মাওলানা জাকের হোসাইন, আমির হোসাইন, ফখরে জাহান সিরাজী, মুহাম্মদ ইসমাইল, ফারুকে আজম আবদুল গফুর, নুরুল আলম প্রমুখ।