খুলনায় রহমান ছাতা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার পরপরই মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সম্প্রতি মহানগরীর বড় মির্জাপুর এলাকার পাঁচতলা বিল্ডিং এর তিন তলায় আব্দুর রহমানের মালিকানাধীন রহমান ছাতা কোম্পানীর কারখানায় আগুন লাগে।

স্থানীয়রা জানান, আগুণ দেখে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। পরে খুলনা সদর, টুটপাড়া ও খালিশপুর থেকে আরো পাঁচটি ইউনিট আসে। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে আরো একটি ইউনিট যোগ হয়। তখন বৃষ্টি হচ্ছে তারপরও আগুণের লেলিহান ছড়িয়ে পড়ে। রাত পৌণে ৫টার দিকে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, আগুণ নিয়ন্ত্রনে এসেছে। আগুণে দুটো বিল্ডিং পাঁচটি তলা পুরে গেছে। প্রথম পাঁচতলা বিল্ডিংটির তিন তলা ও চার তলা পুড়ে গেছে। পাশে দ্বিতীয় আর একটি পাঁচতলা বিল্ডিং এর তিন, চার ও পাঁচতলা পুড়ে গেছে। এখানে রহমান ছাতা কোম্পানির গুদাম ও কারখানা ছিল। তবে আগুণ লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

খুলনা বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. মতিউর রহমান বলেন, ভবনটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতেও সময় লেগেছে। ভবনের বিভিন্ন গেটে তালা থাকায় দ্রুত ভেতরে প্রবেশ করা যায়নি এবং অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়েছে। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরী হয়েছে বলে তিনি জানান।

করোনায় আরো একজনের মৃত্যু

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে আল আমিন (৩৮) নামের একজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে ২১ জুলাই খুমেক হাসপাতালে বছরের প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। আল আমিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দ্বিতীয় রোগী।

খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা আল আমিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় করোনা ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি হন। কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে তার চিকিৎসা চলছিল। রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।