দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ করিমপুর গ্রামে জায়গা দখলের অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ও জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড সভাপতি মো. আবু বকর। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রতিবাদ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু বকর জানান, একই গ্রামের হাজেরা বেগম তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। তিনি ওই নারীর কোন জায়গা দখল করেননি। জামায়াতে ইসলামীকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

তিনি পাল্টা অভিযোগ করে জানান, হাজেরা বেগম তার জায়গা দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এমনকি তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। রামদা দিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়া ভিডিও এলাকার মানুষের কাছে রয়েছে। এই বিষয়ে এলাকার মুরব্বিয়ানদের সালিসে দেয়া সিদ্ধান্ত আব্দুল মালিক দুলালের স্ত্রী হাজেরা বেগম অগ্রাহ্য করে আসছে। তিনি বলেন, এই জায়গার এসএ রেকর্ডীয় মালিক হলেন নেছার আলী। যার এসএ জেএল নম্বর ১৭৩, এসএ খতিয়ান নম্বর ২৯০, এসএ দাগ নম্বর ২১৯৬। পরবর্তীতে নেছার আলী বিএস জেএল নম্বর ৭০ বিএস খতিয়ান নম্বর ৪৫৩, বিএস দাগ নম্বর ৩৬৬৯ মূলে মালিক ও স্বত্ববান থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বায়নামাপত্র করেন ফেঞ্চুগঞ্জের নুরপুর গ্রামের নজমুদ্দৌলা চৌধুরীর সাথে। পরবর্তীতে এই জায়গা বিগত ২০২১ সালের ১৮ আহস্ট সাফ কবালা দলিল সম্পাদিত হয় নজমুদ্দৌলা চৌধুরীর নামে। দলিল দলিল নম্বর ১৯১০/২০২১। পরবর্তীতে নজমুদ্দৌলা চৌধুরী এই জায়গা নামজারী করে নির্বিবাদে ভোগ দখল করে আসছেন।

হাজেরা বেগম সাংবাদিক সম্মেলনে করে যে দুই শতক ১৭ পয়েন্ট জায়গা দলিলে বেশি নেয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ করেছেন তাও সত্য নয়। তিনি বলেন, তাই যদি হতো তাহলে হাজেরা বেগম দলিল বাতিলের মামলা অথবা নেছার আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারতেন। কিন্তু আইনি প্রতিকার না চেয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আবু বকর আরো জানান, হাজেরা বেগমসহ এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমিখেকো মিলে ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেন, হাজেরা বেগম একজন মামলাবাজ। তিনি আপন ভাসুরের তিন ছেলেকে ধর্ষণ মামলার আসামি করে হয়রানি করেছেন। এইভাবে এলাকার মানুষের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। অপপ্রচারকারী হাজেরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন আবু বকর।