প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে কেন্দ্র দখল করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, জামায়াত জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে চায়। একটি দল প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে কেন্দ্র দখল করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তাদের স্বপ্ন রুখে দিতে দেশের জনগণকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার বিপরীতে বিগত ৫৪ বছরে ক্ষমতায় থাকা দলগুলো গড়ার চেয়ে ভাঙ্গনের লিপ্ত ছিল বেশি। যার দরুন আমাদের প্রিয় জন্মভূমি সেভাবে গড়ে উঠেনি। এ মুহূর্তে প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ গড়া। একমাত্র আল্লাহ আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েম হলেই আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। শনিবার (১৬ই আগস্ট) সকারে কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেউলিয়া বাজারে গণসংযোগ শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি মোল্লা শাহাবুদ্দিন শিহাব, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর গাজী মিজানুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাকিম বিল্লাহ, বায়তুলমাল সম্পাদক এফ এম মাকসুদুর রহমান, ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. আব্দুস সাত্তার, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি নাঈম হোসেন রকি, ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই সিদ্দিকী, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি প্রভাষক রেজওয়ানুল করিম, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশিদ, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. ইউনুস মালী, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ, কয়রা বাজার কমিটির সভাপতি সরদার জুলফিকার আলমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গণসংযোগকালে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ কয়রা সদর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী-দোকানদারসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে মানবিক বাংলাদেশের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট চান। কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪নং কয়রা সরকারি পুকুর পাড় থেকে শুরু হয়ে কয়রা দেউলিয়া বাজারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভার মধ্য দিয়ে গণসংযোগ শেষ হয়। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর। যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের ইতিহাস আপনারা জানেন। আর নতুন করে কিছু বলতে চাই না। এবার নতুন ইতিহাস তৈরি করতে হবে। নতুন একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলে এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করে নির্বাচন করলে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের মত নির্বাচন হলে এ দেশের জনগণ সেটা অংশগ্রহণ করবে না।