প্রায় দেড় দশকেও শেষ হয়নি খুলনা জেলা কারাগারের নির্মাণ কাজ। ২০১১ সাল থেকে শহরতলীর খালাসীর মোড় থেকে মোস্তফার মোড়ের মধ্যবর্তী বাইপাস সড়কের পাশে ৩০ একর জমিতে শুরু হওয়া জেলা কারাগারটি নির্মাণে কাজ করে ১৯টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এজন্য তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও বিরাজ করছে। নতুন কারাগার নির্মাণ প্রকল্পটি দেখতে বুধবার (২৫ জুন) অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল মো. তানভীর হোসেন এসে দ্রুত হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য গঠিত হয়েছে একাধিক কমিটিও। গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব জেলা কারাগার কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে নতুন কারাগারে গিয়ে দেখা যায় মূল কারাগারের চারপাশে ৫তলার একাধিক ভবনে রং দেওয়া হচ্ছে। ভেতরে গিয়ে কাজের মান দেখা যায় অনেক খারাপ। বেশ কিছু মালামালও রয়েছে নিম্মমানের। তবে সব ভবনে এমনটি নয়। একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের সাথে যুক্ত থাকায় একেক ভবনের কাজ হচ্ছে একেক রকম। বৃষ্টি হলেই সিড়ি দিয়ে পানি পড়ছে বিল্ডিংয়ের নিচ পর্যন্ত। যদিও পরিদর্শনকালে কোন ঠিকাদারকে পাওয়া যায়নি বক্তব্যের জন্য। যেসব শ্রমিক কাজ করছেন তারা জানান, ‘আমাদেরকে যেভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে সেভাবেই করছি’।

পরিদর্শনকালে সেখানে দেখা যায় খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান ও জেলার মুহাম্মদ মুনীর হোসাইনকে। তারা গিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি’র আগমনকে কেন্দ্র করে সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে। এসময় জেল সুপার নিজেও কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, গত বছর (২০২৪) জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এক বছর চলতি জুনের মধ্যেও শেষ হবে বলে আশাক্ষীণ। তবে ২০১১ সাল থেকে আট বার মেয়াদ ও অর্থ বাড়িয়ে সর্বশেষ করা হয় এ দিন। তাও অতিবাহিত হয়েছে এক বছর।

গণপূর্ত বিভাগ খুলনা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক খুলনা এসে নতুন কারাগার পরিদর্শন শেষে বৈঠক করেছেন।

বৈঠক শেষে তিনি কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। যার আলোকে কাজ শেষে যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি হস্তান্তর করা হবে। এজন্য কয়েকটি কমিটিও করা হয়েছে। ওই কমিটির সদস্যরা প্রতিটি ভবন ঘুরে দেখে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেবেন। যার আলোকে গণপূর্ত বিভাগ কাজ করবে। তবে এজন্য কতদিন লাগতে পারে সেটি তিনি জানাতে পারেননি। শুধু বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই হস্তান্তর করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ‘খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২০১১ সালে একনেকে অনুমোদন হয়। যার কাজ শেষ হওয়া কথা ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে। কিন্তু বিগত ১৪ বছরে আটবার সময় এবং দু’বার সংশোধন শেষে ১৪৪ কোটি টাকা বেড়ে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৮৮ কোটি টাকায়।

পাকুন্দিয়া মতি-আমির পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে আলোচনা সভা

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার শৈলজানীতে মতি-আমির পাবলিক লাইব্রেরির আয়োজনে বিকাল ৪টায় ‘আলোকিত সমাজ গঠনে পাঠাগারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন জিয়া উদ্দিন-বাদশার মা স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি কবি ডা. বোরহান উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এবং মতি-আমির পাবলিক লাইব্রেরির উপদেষ্টা মো. রুহুল আমীন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক সুমন।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কামরুল-মহিউদ্দিন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুরুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হোসেন আলী বাচ্চু, পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. সাদেক আকন্দ, পাকুন্দিয়া উপজেলা বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি ও সালুয়াদী স্বপ্ন পাঠাগার ও সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি গোলাপ আমিন প্রমুখ।