মাঝারি তাপপ্রবাহের কবলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। তীব্র তাপ প্রবাহে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা মাঝারি ধরনের এই তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটেখাওয়া মানুষেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও সন্ধা ৬টায় তা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫১ শতাংশ। এদিকে তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়ছে। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে গা এলিয়ে দিচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুর প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন। চুয়াডাঙ্গা শহরের এক ডাব বিক্রেতা জানান, গত তিন দিন যাবৎ ডাব বিক্রি বেড়েছে। যত গরম বেশি পড়বে তত বেশি বিক্রি হবে। তবে বেলা বাড়লেই লোকজনের আনাগোনা খুবই সীমিত হয়ে যাচ্ছে।
আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়বে জানিয়ে চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, জেলার উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত ক্রমেই বাড়তে পারে। ৪০ ডিগ্রি পার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর থেকে কমতে পারে।