খুলনায় নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে র্যাব ও পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা নির্যাতনকারীদের শাস্তি এবং নিজেদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বিনা কারণে তাদের আটক করে চরম নির্যাতন করেছে। যার যন্ত্রণা তারা বছরের পর বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন।
‘নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস’ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ খুলনা ইউনিটের উদ্যোগে সম্প্রতি খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব ও দিবসের বিবৃতি পাঠ করেন অধিকার খুলনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুজ্জামান। পরিচালনা করেন অধিকার’র ডিফেন্ডার সিনিয়র সাংবাদিক জিয়াউস সাদাত। মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব ও দৈনিক আমার দেশের খুলনা ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব এডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, শিক্ষাবিদ ও নারী নেত্রী রেহানা আক্তার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক নির্বাহী সদস্য ও খুলনা প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক শেখ দিদারুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক নির্বাহী সদস্য ও কালেরকন্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কোনভাবেই সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালাতে পারে না। সেটি গ্রেফতারের সময় হোক বা গ্রেফতারের পরে থানায় নিয়ে অথবা রিমান্ডে নিয়ে হোক। কিন্তু বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দমন-পীড়ন এবং ভিন্নমত দমনের জন্য গুম, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড চালিয়েছে। পতিত শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আইন-শৃংখলা বাহিনীর মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে নির্যাতনকারী আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের শাস্তি এবং নির্যাতিতদের ক্ষতিপূরণ দিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান।