চট্টগ্রাম দারুল মাআরিফ আল-ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন আল্লামা সুলতান যওক নদভীর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল শনিবার শোকবাণী দিয়েছেন।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, আল্লামা সুলতান যওক নদভী উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, হাজারো আলেম-ওলামার উস্তাদ, মাদরাসা শিক্ষা সংস্কারের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়া, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভী রাহিমাহুল্লাহ মহান মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে অনন্ত দিনের যাত্রা শুরু করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)।

মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর সমস্ত নেক খেদমতগুলোকে কবুল করুন, ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করুন। অনন্ত এই সফরে আল্লাহ তা’য়ালা রাহমাহ ও নিরাপত্তা দিয়ে তাঁর বান্দার প্রতি অনুগ্রহ করুন। তার সকল নেক আমল কবুর করে আল্লাহ তাকে জান্নাতে অতি উচ্চ মাকাম দান করুন। আমি তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও গুণগ্রাহীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দোয়া করছি। আল্লাহ তা’য়ালা মরহুমের আপনজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীবৃন্দকে সবরে জামিল আতা করুন। আমীন।

নাসিমা আক্তার বানুর ইন্তিকাল: জামায়াতে ইসলামীর মহিলা রুকন নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা নিবাসী নাসিমা আক্তার বানু হার্ট অ্যাটাক করে গত ২ মে ১০:৪০ টায় ৬০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্বামী, ১ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। তার ১ম নামাজে জানাযা ৩ মে সকাল ৮:৩০টায় রংপুর মহানগরীর রামপুরা জামে মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এবং বেলা ১১ টায় রংপুর জেলার, পীরগাছা উপজেলার গ্রামের বাড়িতে ২য় নামাজে জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শোকবাণী: জামায়াতে ইসলামীর রুকন নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা নিবাসী নাসিমা আক্তার বানুর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান গতকাল শোকবাণী দিয়েছেন।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, নাসিমা আক্তার বানু এর ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈ বোনকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে বোনদের মাঝে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

শোকবাণীতে তিনি আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।