দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যাপীঠ সরকারি ব্রজলাল কলেজ (বিএল কলেজ)। এ কলেজে দীর্ঘ ৩৩ বছর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের অনেক শীর্ষ নেতা কিংবা প্রয়াত অনেক জাতীয় নেতা এ কলেজ থেকে তাদের সোনালি রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্র সংসদ না থাকার ফলে শিক্ষাঙ্গনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ছাত্র সংসদ পুনরায় চালু হলে শিক্ষার্থীরা নতুন নেতৃত্বের সুযোগ পাবে এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ঐতিহ্য ফিরে আসবে। এক সময় কলেজটিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বিএল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় একদিকে যেমন নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না, অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরার মাধ্যম পাচ্ছেন না, ফলে হচ্ছেন অধিকারবঞ্চিত। বিএল কলেজ ছাত্র সংসদের সর্বশেষ নির্বাচন ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরের বছর ১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ছাত্র সংসদের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) শিবির নেতা মুন্সী আবদুল হালিম এবং সংসদের সাহিত্য সম্পাদক আরেক ছাত্রশিবির নেতা শেখ রহমত আলীকে ক্যাম্পাসের ভেতরে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই দিনই বিএল কলেজ ছাত্র সংসদ বন্ধ ও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ছাত্র রাজনীতি চালু হলেও সংসদ আর চালু হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ছাত্র সংসদের জন্য সোচ্চার হয়েছেন বিএল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা এখন বিএল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলছেন।
গ্রাম-গঞ্জ-শহর
অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি
৩৩ বছর ধরে খুলনার সরকারি বিএল কলেজে ছাত্র সংসদ নেই
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যাপীঠ সরকারি ব্রজলাল কলেজ (বিএল কলেজ)। এ কলেজে দীর্ঘ