শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা : শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক স্বল্পতার পাশাপাশি অভাব রয়েছে শ্রেণী কক্ষ ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের।
জানা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালের প্রথম দিকে স্থানীয় জনাব আলী মেম্বার এলাকার অশিক্ষিত ও নিরক্ষর ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে এলাকার গ্রাম প্রধান বা সমাজপতিদের ডেকে বিরাজপুর গ্রামে একটি প্রথমে গ্রাম্য পাঠশালা বা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। সমাজপতিরা তার আহ্বানে সাড়া দিলে পরবর্তীতে তিনি সবাইকে নিয়ে বিরাজপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে জনগণের আর্থিক সহায়তায় একটি বাঁশের বেড়ার দু-চালাঘরে মাত্র ১০ জন ছাত্র নিয়ে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই নানামুখী তদবির ও বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান তুলনামূলকভাবে ভাল হওয়ায় অল্প সময়ের ভিতরেই বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হয়। পরবর্তীতে তা পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয়ে রূপ নেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ মরহুম জনাব আলী মেম্বার বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার সুবাদে আমৃত্যুকালীন সময় পর্যন্ত তিনি বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ দখল করে এক তরফাভাবে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে গেছেন।
এ সময় তিনি সরকারি লোকজনের সহায়তায় ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড়া তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের প্রচলিত নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে তিনি তার ভাতিজা ও ভাগ্নিজামাইকে এই বিদ্যালয়ে চাকরি দেন। যা পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। একই পরিবারের লোকজন এ বিদ্যালয়টি পরিচালনা পরিষদ হতে শুরু করে বিদ্যালয়ে একই পরিবারের লোকজন একাধিক শিক্ষকের পদে থাকায় বিদ্যালয়টি একটি পরিবারতান্ত্রিক বিদ্যালয়ে রূপ নেয়।
ফলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান তুলনামূলকভাবে ভাল থাকলেও পরবর্তীতে শিক্ষার মানে ধস নামে।
গত মাস পর্যন্ত এ বিদ্যালয়টিতে ৪ জন শিক্ষক ছিল যার মধ্যে তিন জন পরস্পর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন। সম্প্রতি এ বিদ্যালয় হতে শিক্ষিকা মিসেস রুমা আক্তারকে দশচিড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হলেও এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম ও সহকারী শিক্ষক মোঃ শামসুল হক সম্পর্কে মামাত-ফুফাতো ভাই।