সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের নইপাড়া এলাকায় পুকুর খননকারী মোঃ শহীদুল ইসলামের নিকট চাঁদা দাবি করায় ৫ চাঁদাবাজ পুলিশ হেফাযতে থানায়। শহীদুল ইসলাম ও ছোয়াদ আলী জানান বিকেলে ৬/ টি মটরসাইকেলে ১৮/২০ জন নইপাড়ায় এসে চাঁদা না দিলে পুকুর খনন করা চলবে না বলে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে এবং মাটি কাটার ভেকু ভাঙচুর করে। তারা ঐখানে আগুন জ্বালিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। তখন ছোয়াদ আলীসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ ৫ জনকে আটকে রেখে পিটুনি দিতে থাকে।

কেউ কেউ ভিডিও করে লাইভ দেখাতে থাকেন।

আটককৃতরা হলো- সলঙ্গা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন, সদস্য রোকনুজ্জামান, সলঙ্গা থানা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব আব্দুস সোবহান, রাসেল ও আশরাফ আলী।

ঘটনা সম্পর্কে সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বেশকিছু বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষকে ওই নেতাদের আটকে রেখে মারধর করতে দেখা গেছে।

বাকি বেশ কয়েক জন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উত্তেজিত লোকজন তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং গাড়িগুলো শহীদুল ইসলামের বাড়িতে আটকে রাখে।

ছোয়াদ আলী আরো জানান, তিনি নিজে বাদী হয়ে রাতেই ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে দুটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো ১। মোঃ রোকনুজ্জামান পিতা সাইদুর রহমান ২। মোঃ রাসেল পিতা আব্দুল মান্নান উভয়ের গ্রাম আমসাড়া ৩। আব্দুস সোবহান পিতা সোরহাব আলী গ্রাম বেতুয়া ৪। আব্দুল মোমিন পিতা জাহাঙ্গীর আলম গ্রাম ধুবিল ৫। আব্দুল হাকিম পিতা মোঃ শুকুর আলী গ্রাম মালতি নগর ৬।

আশরাফ আলী পিতা আব্দুল মজিদ গ্রাম গুঘাট ৭। মামুন সরকার পিতা শাহ আলম ৮। মোঃ আলমগীর পিতা হুদা উভয়ের গ্রাম মালতি নগর। একটি মামলা দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করায় অন্য মামলাটি ভেকু ভাঙচুরে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার বলেন, “আমি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থান করছি। চাঁদা দাবি ও মারধরের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা নেই। খবর নিয়ে বলতে পারব।”