ফেনী সংবাদদাতা : ফেনী শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবশেষে ট্রাংক রোডের পশ্চিম পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজ পূন:রায় চালু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পতিত সরকারের আমলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ড্রেনগুলো নির্মাণ হলেও বিভিন্ন চেষ্টা তদবীরের কারণে এই ড্রেনটি নির্মাণ কাজ বারবার বাঁধাগ্রস্ত হয়। এতে পথচারীদের দূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় একাধিকবার এই ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুল পর্যন্ত এসে ড্রেন নির্মাণ কাজ থমকে দাঁড়ায়। তৎকালীন গডফাদার নিজাম হাজারী মোটা অংকের টাকা নিয়ে এবং তার অনুগত কতিপয় ব্যক্তিকে সুবিধা দিতে ড্রেন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। তবে এজন্য একটি মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছিল বলে পৌরসভা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ফ্যাসিস্ট বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর পূর্বের মাস্টার প্ল্যান কিছুটা রদবদল করে আরেকটা প্ল্যান তৈরি করা হয়। সে প্ল্যান অনুযায়ী কাজ শুরু করা হলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারসাজিতে প্ল্যানের কোন তোয়াক্কা না করে জগাখিচুড়ি কাজ করার চেষ্টা চলছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এছাড়াও ড্রেনের জন্য চলছে এক অভাবনীয় কান্ড। এখানে কোথাও রাস্তার পাশে দোকান ভেঙে তছনছ করে দেয়া হচ্ছে আবার কোথাও কোথাও কাউকে সুবিধা দেয়ার জন্য দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ড্রেনকে বাঁকা করে নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। বিশেষ করে এক পলাতক আওয়ামী লীগ নেতার বহুতল ভবন রক্ষা করতে ড্রেনকে করা হচ্ছে আঁকা বাঁকা যে মবন নির্মাণই করা হয়েছে সরকারী খাস জায়গায়।আবার কোথাও কোন কারন ছাড়াই সড়কের পাকা অংশ ঘেঁষে ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে।অথচ পেছনে সরকারে খালি জায়গা বা পরিত্যক্ত ঘর পড়ে আছে।বিশেষ করে ডাক্তার পাড়া রোডের মাথা থেকে লতিফ টাওয়ার পর্যন্ত ড্রেন আঁকা বাঁকা করে নির্মাণ করা হচ্ছে নবনির্মিত ড্রেনের পরে রোডস এর জায়গা আছে,তারপরে সরকারের খাস জায়গা আছে।তবু কেন সড়কের পিচ ঘেঁষে ড্রেন নির্মাণ চলছে তার কোন জবাব কর্মকর্তাদের কাছে নেই।এই ড্রেন দুই চার বছর পরই ভেঙ্গে আরো অন্তত দশফিট পেছনে নিয়ে তৈরী করতে হবে।জায়গা থাকা সত্ত্বেও তা এখন হচ্ছেনা।এভাবে ড্রেনকে বাঁকা করার কারণে অদুর ভবিষ্যতে এই ড্রেন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়বে। ড্রেনের পানি ও ময়লা নিস্কাশনে বাঁধাগ্রস্থ হবে। এর ফলে জনদূর্ভোগ আরো বেড়ে যাবে।