গাজীপুর জেলার চারটি উপজেলায় জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১৫৬ জন সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন অফিস। এ সময় জেলায় মোট ৫৪ ইউনিট এন্টি ভেনম মজুদ ছিল, যা রোগীর তুলনায় অপ্রতুল বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী,জুলাই মাসে ২৯ জন, আগস্টে ৩৪ জন, সেপ্টেম্বরে ৪৭ জন এবং অক্টোবরে ৪৬ জন রোগী সাপে কাটা ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের মধ্যে কাশিমপুর উপজেলায় সর্বাধিক ৬২ জন, শ্রীপুরে ৪৪ জন, কালীগঞ্জে ২৯ জন এবং কালিয়াকৈরে ২১ জন রোগী শনাক্ত হয়।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন, ডা. মোঃ মামুনুর রহমান জানান,বর্ষাকাল ও পরবর্তী সময়ে ধানক্ষেত, বাগান, নদীপাড় এবং জলাবদ্ধ এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। অনেক সময় আক্রান্তরা দেরিতে হাসপাতালে আসায় ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টি ভেনম সরবরাহ করা হয়েছে, তবে চাহিদার তুলনায় এটি এখনও কম। তবে এ বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে শীঘ্রই আমরা এন্টিভেনম পেয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, সাপে কামড়ের ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসাই একমাত্র নিরাপদ উপায়। লোকজ চিকিৎসা বা ঝাড়ফুঁকের উপর নির্ভর না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কালীগঞ্জে ২৪ ইউনিট, কালিয়াকৈরে ৫ ইউনিট, কাশিমপুরে ২০ ইউনিট এবং শ্রীপুরে ৫ ইউনিট এন্টি ভেনম মজুদ রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত এন্টি ভেনম মজুদ রাখলেই সাপে কামড়ে মৃত্যুহার কমানো সম্ভব।