আশাশুনি (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা : দৈনিক সংগ্রামে সংবাদ প্রকাশের পর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজার মরিচ্চাপ নদীর বেড়ী বাঁধ ও আশাশুনি সদরের মানিকখালী ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ও বিকালে ভাঙন কবলিত বাঁধ পরিদর্শন করেন কর্মকর্তাবৃন্দ। মানিকখালী চরে প্রটেকশান বাঁধ ভেঙ্গে চরের বাসিন্দাদের মৎস্য ঘের, পুকুর, বসতবাড়ি নিমজ্জিত হয়েছে। নদী খনন কাজ শুরুর পর চর এলাকায় গিয়ে কাজ বন্ধ করে রাখা হয়। ম্যাপ অনুযায়ী খননকাজ করার দাবীতে এবং এলাকা রক্ষার্থে সুরক্ষা বাঁধের দাবিতে আবেদন, নিবেদন, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়। সরকারি ও পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শন ও বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তু খনন কাজে নিয়মমত শুরু না করা, প্রটেকশান ব্যবস্থা না নেওয়ায় মধ্যম চাপড়ায় বাঁধে ভাঙন ও মানিকখালী চরে বাঁধ ভেঙে মৎস্য ঘের, পুকুর ও ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়। ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন, পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশিকুর রহমান ও আশাশুনির সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন। পরিদর্শনকালে চর রক্ষায় প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মানসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি নাভিদ নওরোজ আকাশ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশিকুর রহমান গোয়ালডাঙ্গা বাজারে ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশিকুর রহমান বলেন, এটি পাউবোর রাস্তা না। এ রাস্তাটা নদী খননকৃত মাটি তবুও এটি নদী রক্ষা বাঁধ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জরুরি ভাবে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ করে আটকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।