বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে অনাচার, পাপাচার আর অনৈতিকতার সয়লাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মাগুরার শিশুকন্যা আছিয়ার মৃত্যু দেশবাসীকে কাঁদিয়েছে। জাহিলিয়াত রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। ধর্ষণসহ যাবতীয় অন্যায় অপকর্ম বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ, সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা অপরিহার্য। রামাদান মাস মুসলিম উম্মাহ’র জন্য সুসংবাদ নিয়ে প্রতি বছর আগমন করে। হাদীসের বর্ণনায় এসেছে, যে মাস আসলে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয়ে যায় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের এ মাসে মু’মিন জীবনকে তাক্বওয়ার গুণে গুণান্বিত করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা রোযাকে ফরজ করে দিয়েছেন।
তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজারে আল ইহসান ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ কালাইউরা আয়োজিত রামাদানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফয়জুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ক্বারী কাওছার আহমদ। মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাউতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলাওয়ার হোসাইন। প্রবাসী ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় বাস্তবায়িত এ মাহফিলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আপামর সাধারণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেন, কুরআন নাযিল হওয়ার কারণেই রামাদান মাসের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মাসে একটি রাত রয়েছে লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সেই রাতের গুরুত্বের মূল কারণ কুরআন। কুরআন নাযিলের এ মাসে কুরআন পড়া, অধ্যয়ন, উপলব্ধি, এর আমল, প্রচার ও প্রতিষ্ঠার দৃপ্ত শপথে বলীয়ান হয়ে আমাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা উচিত। দিশেহারা জাতিকে সত্য ও সুন্দর এর আহ্বান পৌঁছে দিতে হবে।